নাশকতার অভিযোগে মতিঝিল থানায় এক মামলায় মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আসামি রফিকুল ইসলাম মাদানীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের ভার্চুয়াল আদালত চার দিনের রিমান্ড আদেশ দেয়।
আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। তার এসব বক্তব্য দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করছে।
রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাদানীকে নেত্রকোণার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলাসহ কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে গাজীপুরে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৬ এপ্রিল দুই দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
শিশুতোষ কণ্ঠের অধিকারী হওয়ায় মাদানীকে অনেকে ‘শিশুবক্তা’ বলে মনে করলেও তিনি নিজে দাবি করেছেন, তিনি মোটেও শিশু নন। তার বয়স ২৬ বছর।
গত ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছিল রমনা থানার পুলিশ। সেখানে তিনি মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন, আর এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেবেন না।
সে কথা না রাখার কারণ জানতে চাইলে মাদানী র্যাবকে জানান, পুলিশের আটকের বিষয়টি তিনি ‘সিরিয়াসলি’ নেননি। ভেবেছিলেন, জনপ্রিয়তার কারণে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে না।