চলমান কঠোর লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
খুলনা সড়ক জোনের বিআরটিসি, বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বুধবার সকালে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
কাদের বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ছাড়াও সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবার পাবে ৫ হাজার টাকা করে। এ জন্য সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
লকডাউনের কারণে কর্মহীন অসহায়, খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল ভাসমান মানুষদের সহায়তায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় বিএনপি নেতাদের সমালোচনাও করেন ওবায়দুল কাদের। দুর্যোগ, সংকটে লিপ সার্ভিস না দিয়ে বিএনপিকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। কাদের বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে ফিরে আসতে হবে। এখন জনকল্যাণের রাজনীতিই বেশি প্রয়োজন।
এ দেশের রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বিএনপি ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্জনকে তারা অপপ্রচার আর অন্ধ সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি নেতিবাচক ধারা ও প্রতিক্রিয়াশীলতায় পুষ্ট।
তিনি বলেন, দেশ ও সমাজের গৌরবের দিনগুলো তারা বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছে। জনগণের সমর্থন না পেয়ে ক্ষমতায় যেতে খোঁজেন অন্ধকারের চোরাগলি।
জাতির সোনালি অর্জনগুলোকে কালিমালিপ্ত করে তারা পরাজিত পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশের রাজনীতিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়, যা এখন আর সম্ভব নয়, জনগণও তা আর হতে দেবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জনমুখী ও উন্নয়নের রাজনীতি কথাসর্বস্ব দলগুলোকে সংকটে ফেলেছে, তাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের পথরেখায় ফেলেছে অন্ধকারের ছায়া।’
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন সড়ক পরিবন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যশোর - খুলনা মহাসড়কের নোয়াপাড়া থেকে যশোরের দিকে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত, তাই জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ শেষ করতে হবে। রাস্তা শুধু করলেই হবে না, তার রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে।
খুলনা-মোংলা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মোংলা পোর্টের কারণে এ সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা খুবই জরুরি। দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রকৌশলীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, বর্ষার সময় হাত গুটিয়ে বসে না থেকে চলমান কাজের তদারকি করতে হবে। পাশাপাশি নতুন কাজের টেন্ডার আহ্বানসহ প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে নিতে হবে, যাতে বর্ষার পরপরই কাজ শুরু করা যায়।