বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেকপোস্টেও ঢিলেঢালা

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ১২:০৪

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, বিজয়সরণি, কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, উত্তরা, পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়কের পাশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে থাকা দোকানপাট প্রায় সবই খোলা।

যত দিন যাচ্ছে ততই তীব্রতা হারাচ্ছে ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন। মানুষের মাঝে তো বিধিনিষেধ মানার গরজই নেই, এবার ঢিলেঢালা ভাব নেমে এসেছে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতেও।

ঢাকা শহরের সড়ক ও অলিগলিতে যানবাহন এবং মানুষের চলফেরা যাচ্ছেতাই। কোথাও কোনো লকডাউনের বালাই নেই। সব চলছে আগের মতোই। নেই কেবল যাত্রীবাহী বাস। আর বন্ধ মার্কেট।

রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্টগুলোতেও পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও দেখা গেছে ঢিলেমি। আগের মতো মুভমেন্ট পাস চেক করছেন না।

কেন এই গাছাড়া ভাব এ বিষয়ে কেউ কিছু না বললেও অনেকের ধারণা, চেকপোস্ট ঘিরে চিকিৎসক ও অন্যান্য পেশাজীবীদের সঙ্গে পুলিশের ‘বিতর্কিত’ কিছু ঘটনার কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে। তবে পুলিশ বলছে, ঢিলেঢালার কোনো সুযোগ নেই। লকডাউনের বিধিনিষেধ নিশ্চিতে যথাযথভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, বিজয়সরণি, কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, উত্তরা, পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়কের পাশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে থাকা দোকানপাট প্রায় সবই খোলা।

সড়কে বাস চলতে দেখা যায় কর্মীদের বহনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মিনিবাস। অন্যদিনের তুলনায় বেড়েছে প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা। চেকপোস্টে এসব থামাতে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

রাজধানীর বাড্ডা এলাকার প্রধান রাস্তায় প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা দেখা যায়। বাস চলাচল না থাকলেও দুই-একটা অফিসগামী বাস দেখা যায়।

মৌচাক মোড়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেই জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ১০-১৫ জন তরুণকে। তাদের বেশির ভাগের ছিল না মাস্ক। পাশেই নির্বিকার দাঁড়িয়েছিল একদল পুলিশ।

শান্তিনগর মোড়ে ফ্লাইওভারের নিচে বসেছে বাজার। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি বেশির ভাগ মানুষকে। রাস্তায়ও ছিল অগণিত মানুষ।

কারওয়ান বাজার এলাকায় মূল সড়কে কোনো বাস চোখে না পড়লেও প্রচুর রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও অটোরিকশা দেখা গেছে। কোনো কোনো সড়কে যানবাহনের চাপে সড়কে ধীরগতিও লক্ষ করা যায়।

রাজধানীর কয়েকটি কনস্ট্রাকশন সাইটে নির্মাণশ্রমিকদের কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই নির্মাণকাজ চালাতে দেখা গেছে। দলে দলে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে গার্মেন্ট কর্মীদের।

অফিসগামীরা গণপরিবহন না পেয়ে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেক অফিসই তাদের কর্মীদের বলেছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অফিসে আসতে। রাজধানীর বাসটার্মিনালগুলোতে দেখা যায়, পরিবহনশ্রমিকরাও অলস সময় কাটাচ্ছেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে, চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। লকডাউন বাস্তবায়নে সরকার থেকে ১১ দফার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর