বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন করে দরিদ্র আড়াই কোটি

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:০৯

এদের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীই শহরে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। বিশেষ করে রিকশাচালক, নিরাপত্তা প্রহরী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, পরিবহন ও রেস্তোঁরা শ্রমিক, বেসরকারি স্কুল শিক্ষক ও নির্দিষ্ট বেতনে কর্মরত মানুষ। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসি ও বিআইজিডির যৌথ সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গেল এক বছরে করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ।

এদের মধ্যে বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীই শহরে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। বিশেষ করে রিকশাচালক, নিরাপত্তা প্রহরী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, পরিবহন ও রেস্তোঁরা শ্রমিক, বেসরকারি স্কুল শিক্ষক ও নির্দিষ্ট বেতনে কর্মরত মানুষ।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার এক ওয়েবিনারে সমীক্ষার বিস্তারিত তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিআইজিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন।

মহামারির প্রভাবে নিম্নআয়ের মানুষের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে চলতি ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে তিন পর্বের টেলিফোনিক সমীক্ষা চালিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের করোনা মোকাবিলায় অর্থনৈতিক প্রভাব খতিয়ে দেখাতে ২০২০ সালের এপ্রিলে সমীক্ষার প্রথম পর্যায়টি পরিচালনা করা হয়। একই বছরের জুন-জুলাইয়ে জরিপের দ্বিতীয় ধাপে কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক প্রভাবের ধরন এবং পুনরুদ্ধারের উপায় নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়।

মহামারি এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে শহর ও গ্রামের বস্তিতে বসবাসকারী ছয় হাজারেরও বেশি পরিবারের উপর পিপিআরসি এবং বিআইজিডি তাদের তৃতীয় সমীক্ষাটি করেছে।

এতে বলা হয়, এক বছরে অনেক মানুষের আয়ের পতন ঘটেছে। বেড়েছে শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে একরকম অচল হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। সংক্রমণ এড়াতে একদিকে যেমন দেয়া হচ্ছে লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধ। তেমনি এমন সব ব্যবস্থাপনায় আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে অগণিত মানুষের। তাই বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা।

মহামারির কারণে শহর ছেড়ে যাওয়া সবাই এখনও কর্মস্থলে ফেরেনি। করোনার প্রথম ঢেউয়ের প্রভাব কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ।

গত বছরের ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই এখনও বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ওই সময় দেশে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছিল। নিম্ন আয়ের মানুষ যখন সেই ধাক্কা সামলে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখনই শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।

সমীক্ষায় আরও বলা হয়, এসময় মহিলাদের মধ্যে কর্ম হারানোর শঙ্কা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। করোনায় বছর জুড়ে বেড়েছে ঋণের বোঝা। এসময়ে ১১ শতাংশ মানুষের সঞ্চয় কমেছে।

ফলে জীবন ও জীবিকা ঠিক রেখে ‘স্মার্ট লকডাউন’ চিন্তার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এক্ষেত্রে বিধিনিষেধ প্রয়োগের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এরপরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। যাকে বলা হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন। এতে জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে যুক্ত কার্যক্রমের বাইরের সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছে।

লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষের টিকে থাকার সংগ্রাম আরও কঠিন হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর