বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকা তৈরিতে আন্তরাষ্ট্র সহযোগিতায় জোর প্রধানমন্ত্রীর

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২১ ১২:১৫

বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ভাষণে করোনা মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক শক্তিশালী অংশীদারত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

সবার জন্য করোনাভাইরাসের টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে যেসব রাষ্ট্র টিকা উৎপাদন করে না, সেগুলোকে সহায়তা দিতে টিকা তৈরিকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএএফ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ধারণ করা এক ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার সকালে প্রচার হওয়া ভাষণে করোনা মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক শক্তিশালী অংশীদারত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। সর্বজনীন ভ্যাকসিন কাভারেজ অর্জনের লক্ষ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর উচিত অন্য দেশগুলোকে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করা।

‘ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা উপকরণের চাহিদা মেটাতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর করতে সব দেশের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জিএভিআই এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অধিকার, সাম্য এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের ইতিহাসের এক চূড়ান্ত পথে নিয়ে এসেছে এবং সম্ভবত আমরা সময়ের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মহামারির আর্থসামাজিক প্রভাব ব্যাপক এবং এই প্রভাব এখনও বাড়ছে। সুতরাং সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অংশীদারত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

‘জীবন ও জীবিকার ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ মহামারির বিরূপ প্রভাব কাটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, যা আমাদের জিডিপির ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।’

বৈশ্বিক এই মহামারির সময় কেউ যাতে পেছনে না পড়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক গভর্ন্যান্সের গুরুত্বও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সংকটময় সময় কাটিয়ে উঠতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর তহবিল হতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন।

‘সার্ক, বিমসটেক, এসএএসসি, বিবিআইএন এবং বিসিআইএমের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং এর বাইরেও বহু মাল্টি মডেল লিংকেজের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বাংলাদেশ বিশ্বাস করে বৈশ্বিক গভর্ন্যান্স শক্তিশালী করা এবং অ্যাডভান্স বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

ঐক্যবদ্ধভাবে প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই মহাদেশটিতে বিপুল জনসংখ্যা, বিশাল বাজার এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, আমরা একসঙ্গে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। এটি আমাদের প্রতিশ্রুত এসডিজি অর্জনেও সহায়তা করবে। একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা বাড়ানো দরকার। হাই-টেক পার্ক, ব্রডব্যান্ড এবং স্যাটেলাইট সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য কাঠামো তৈরি করেছে।

‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (হলো) আমরা আমাদের তরুণদের উদ্ভাবনের জন্য প্রস্তুত করছি। এ ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সুবিধাগুলো বিনিময়ের মাধ্যমে পাশাপাশি আমরা সাইবার অপরাধসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারি।’

এ বিভাগের আরো খবর