গত ২৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের শুরুর দিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।
এতদিন কোনো রকম সহিংসতায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করা এই ধর্মীয় আলেম বলেছেন, সেদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও কিছু ঘটনা ঘটেছে।
এসব সহিংসতায় সামনে এসেছে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থানকে ঘিরে দিনভর চালানো তাণ্ডবের বিষয়টি। আর সংগঠনের ১০ জন শীর্ষ স্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে আট বছর আগে ও পরের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবুনগরীর নামে ফেসবুক পেজে এই ভিডিও দেয়া হয়।
হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইনামুল হাসান ফারুকী ভিডিও বার্তা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে মার্চের শেষে সক্রিয় ছিল হেফাজতে ইসলাম। সফরের কয়েক দিন আগে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি সফর চলাকালে কোনো ধরনের কর্মসূচি না দেয়ার অঙ্গীকার করে। তবে ২৫ মার্চ দুপুরের পর বায়তুল মোকাররমের সমাবেশে হেফাজত নেতা মামুনুল হক বলেন, মোদি বাংলাদেশে এলে তারা সরকার পতনের ক্ষেত্র তৈরি করবেন।
২৬ মার্চ যখন সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান চলছিল, তখন বায়তুল মোকাররম এলাকায় সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় কওমিপন্থিরা।
এই সংঘর্ষ চলাকালে হেফাজতের সদরদপ্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা লাগোয়া মসজিদ থেকে মিছিল বের করে স্থানীয় ডাকবাংলোতে হামলা করে ছাত্ররা। সেখানে অবস্থানকারী এক পুলিশ কর্মকর্তাকে টেনে বের করে বেদম পেটানো হয়।
এরপর হামলাকারীরা ভাঙচুর চালায় স্থানীয় এসিল্যান্ড অফিসে। সেখান থেকে তারা লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা চালায় হাটহাজারী থানায়। তখন পুলিশ গুলি চালালে নিহত হয় চার জন।
একই দিন বেপরোয়া হামলা চলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। সেখানেও মাদ্রাসা ছাত্ররা মিছিল নিয়ে শহরে এসে রেল স্টেশন, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে রাখা বেশ কিছু গাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় আনসার ক্যাম্প। হামলা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও। তখন পুলিশ গুলি চালালে নিহত হয় এক জন।
এর প্রতিবাদে ২৮ মার্চের হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব ছিল অবিশ্বাস্য। সেদিন জেলা পরিষদ, পৌরসভা কার্যালয়, ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতিচিহ্ন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক ভেঙে আগুন দেয়া হয়। শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলায় আগুন দেয়া হয়, হামলা হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়ি ঘরে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয় জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলাএকই দিন ব্যাপক সহিংসতা চলানো হয় নারায়ণগঞ্জে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ৫০টিরও বেশি গাড়ি ভাঙচুর, বেশ কিছু গাড়িতে আগুনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরও চলে হামলা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তাণ্ডব চালায় হেফাজত। ছবি: নিউজবাংলামুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানায় হামলা হয় মসজিদে মাইকিং করে। দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পেটানো হয় প্রকাশ্যে। কিশোরগঞ্জে ভাঙচুর চালানো হয় আওয়ামী লীগ অফিসে।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারী নিয়ে অবরুদ্ধ মামুনুল হককে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায় হেফাজত কর্মীরা। সেখানে রিসোর্টে ভাঙচুর করার পাশাপাশ স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিস, স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের বাড়িঘরে হয় হামলা। ব্যাপক ভাঙচুর চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও।
নারীসহ রিসোর্টে আটক হন মামুনুল হক। ছবি: নিউজবাংলামুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগ অফিসেও হয় হামলা।
এসব ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় সরকারি দলে। আর ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয় গ্রেপ্তার অভিযান। প্রথমে ধরা পড়েন সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী আর রোববার ধরা পড়েছেন মামুনুল হক। মাঝে আরও আট জন গ্রেপ্তার হয়ে আছেন রিমান্ডে বা জেলখানায়।
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে রোববার দুপুরে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: নিউজবাংলামামুনুল গ্রেপ্তারের পর হেফাজত নেতারা করণীয় ঠিক করতে অনলাইনে বৈঠক করেন। আর পরদিন তিনি সংগঠনের বার্তা নিয়ে সামনে আসেন।
‘আমরা দুঃখিত’
স্বাধীনতা দিবসে তাণ্ডব প্রসঙ্গে বাবুনগরী বলেন, ’২৬ মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমাদের কোনো কমান্ড ছিল না। আমি নিজে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছিলাম না, দূরে সফরে ছিলাম। এর আগে ঢাকার বায়তুল মোকাররমে কিছু মুসল্লি এবং ক্যাডারের মাঝখানে কিছু অঘটন ঘটেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিতরে ক্যাডাররা মুসল্লিদেরকে মারধর করেছে। এর পরে হাটহাজারীর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত।
‘আবার বাহ্মণবাড়িয়ায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে।’
কেবল ২৬ মার্চ নয়, তাদের কিছু কিছু বক্তা নানা কথা বললেও মোদি আসার ব্যাপারে হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না বলেও জানান সংগঠনের আমির।
শান্তির আহ্বান
বাবুনগরী বলেন, হেফাজত শান্তি-শৃঙ্খলা চায়। কোনো অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা, সংঘাতেও যেতে চায় না।
হেফাজত নেতারা যখন গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তখন তাদের সমর্থকদের ফেসবুক পেজগুলোতে ক্রমাগত উসকানিমূলক পোস্ট হতে থাকে। বাবুনগরীকে তারা বারবার আহ্বান জানাতে থাকেন কঠোর কর্মসূচি দেয়ার।
তবে এর বিপরীত অবস্থানে গিয়ে বাবুনগরী তাদের সমর্থকদের বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন, কোনও সংঘাতে যাবেন না। কোনও জ্বালাও পোড়াও করবেন না। হেফাজতে ইসলাম ভাঙচুর আর জ্বালাও পোড়াওতে বিশ্বাস করে না। বরং হারাম মনে করে।’
দুনিয়ার জীবন আসল জীবন নয় উল্লেখ করে হেফাজত আমির বলেন, ‘আসল হায়াত শুরু হবে মৃত্যুর পর থেকে। কবরের হায়াত, হাশরের হায়াত, আখেরাতের হায়াত, বেহেস্তের হায়াত। নিরাশ হবেন না। হতাশ হবেন না। হিম্মত, সাহস রাখুন, বালা মুসিবত বিপদের ওপর ধৈর্য ধারণ করুন। খবরদার কোনও ভাঙচুর করবেন না। জ্বালাও পোড়াও করবেন না। সংঘাতে যাবেন না।’
সংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তারকে আল্লাহর পরীক্ষা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তো হযরত আদম (আ.) এর যুগ থেকে চলে আসতেছে। যাদের ইমান আকিদা বেশি মজবুত, তাদের ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাও শক্ত হয়। বিপদও শক্ত আছে। নবীগণের দ্বীন ও ইমান সবচেয়ে বেশি শক্ত ছিল, তাই নবীরা বেশি বিপদের শিকার হয়েছেন। এরপর সাহাবায়ে কেরাম, তাদের দ্বীন ও ইমান শক্ত ছিল বিধায় তারাও নবীদের পরে বেশি বিপদের মুখোমুখি হয়েছেন। এভাবে সিলসিলা চলতে থাকবে। আমাদের মধ্যেও যাদের দ্বীন-ইমান বেশি মজবুত, যাকে আল্লাহ ভালোবাসেন, তার ওপর বিপদ আসে। তারা পরীক্ষার সম্মুখীন হন।’
‘রাজনীতি হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়’
সংগঠনের নেতারা প্রায়ই বিভিন্ন বক্তব্যে তাদের কথা না শুনলে সরকার ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসলেও বাবুনগরী দাবি করেন, তাদের সংগঠন পুরোপুরি অরাজনৈতিক। বলেন, ‘কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। কোনো পার্টি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হেফাজত ইসলামের উদ্দেশ্য নয়। হেফাজতের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর জমিনে হযরত মুহাম্মদ (স:) এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা।’
নেতাদের মুক্তি দাবি
ভিডিও বার্তায় সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে আনা সহিংসতা সম্পৃক্ততার অভিযোগও অস্বীকার করেন বাবুনগরী।
বলেন, ‘মাহে রমজানে প্রশাসন বেধড়কভাবে আমাদের হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী, হক্কানি আলেম ওলামাদের, দেশের জনগণকে, ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। অবিলম্বে এ ধরপাকড় ও হয়রানি বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
‘তাছাড়া আমাদের হেফাজত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাসহ ছাত্র ও তৌহিদী জনতা যাদেরকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে তাদের নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
হেফাজতের যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের অর্ধেকেরও বেশি নেতা ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের মামলায় আসামি।
ওই ঘটনায় ৫৩টি মামলা হলেও ৪৭টি মামলার কোনো অগ্রগতি ছিল না।
বাবুনগরী বলেন, ৮/৯ বছর পর এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এতদিন কোথায় ছিলেন আপনারা? আর এই ২০১৩ সালের মামলা হিসেবে যেগুলো সাজানো হয়েছে এগুলো ডাহা মিথ্যা। ২০১৩ সালের ডাহা মিথ্যা মামলায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদেরকেও মুক্তি দিন। এটাও আমাদের দাবি।’
ভিডিও বার্তা বাবুনগরী বলেন, ‘হেফাজত হলো অরাজনৈতিক বড় একটি দল। বিগত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করা হেফাজত ২০২১ সালে ১১ বছরে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না- কোনো পার্টির সঙ্গে হেফাজতের সম্পর্ক ছিল।’
ভিডিওবার্তায় হেফাজত আমির আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হেফাজত শান্তি-শৃঙ্খলা চায়। কোনো অশান্তি বা বিশৃঙ্খলায় যেতে চায় না। হেফাজত কোনো সংঘাতেও যেতে চায় না। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। কোনো পার্টি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হেফাজত ইসলামের উদ্দেশ্য নয়।’
হেফাজত আমির ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, ‘কিছু কিছু বক্তা তাদের বক্তব্যে এ ব্যাপারে বললেও কিন্তু মোদি আসার ব্যাপারে হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। অথচ মোদির সফর ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ জুমার দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম ভাঙচুর আর জ্বালাও পোড়াওতে বিশ্বাস করে না। বরং হারাম মনে করে। আপনারাও ধৈর্য ধারন করুন।’
বাবুনগরী বলেন, ‘২৬ মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমাদের কোনো কমান্ড ছিল না। আমি নিজে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছিলাম না, দূরে সফরে ছিলাম। এর আগে ঢাকার বায়তুল মোকাররমে কিছু মুসল্লি এবং ক্যাডারের মাঝখানে কিছু অঘটন ঘটেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিতরে ক্যাডাররা মুসল্লিদেরকে মারধর করেছে। এরপরে হাটহাজারীর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। আবার বাহ্মণবাড়িয়াতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।’
বাবুনগরী কোনো ভাঙচুর ও জ্বালাও পোড়াও না করার জন্যে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জুনায়েদ বাবুনগরী ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, ‘মাহে রমজানে প্রশাসন বেধড়কভাবে আমাদের হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী, হক্কানি আলেম ওলামাদের, দেশের জনগণকে, ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। অবিলম্বে এ ধরপাকড় ও হয়রানি বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তাছাড়া আমাদের হেফাজত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাসহ ছাত্র ও তৌহিদী জনতা যাদেরকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের মামলায় ৮/৯ বছর পর এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এতদিন কোথায় ছিলেন আপনারা? আর এই ২০১৩ সালের মামলা হিসেবে যেগুলো সাজানো হয়েছে, এগুলো ডাহা মিথ্যা। ২০১৩ সালের ডাহা মিথ্যা মামলায় যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকেও মুক্তি দিন। এটাও আমাদের দাবি।’