বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মামলার জট কমাতে তিনগুণ বিচারক দরকার’

  •    
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:৪১

‘জীবনের সঙ্গে জীবিকাও লাগবে। তারমধ্যে জীবন আগে, জীবিকা পরে। আপিল বিভাগ চলে ৪০ জন স্টাফ দিয়ে। তারমধ্যে ৩৬ জন আসেন। আর হাইকোর্টের ১০টি বেঞ্চ চালাতে এক হাজার স্টাফ লাগবে। এই মুহূর্তে এত স্টাফ আনার সাহস আমি পাচ্ছি না।’

বর্তমানে ৩০ লাখ মামলার যে জট রয়েছে তা কমাতে তিনগুণ বিচারক দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

রোববার আপিল বিভাগে ভার্চুয়ালি মামলার শুনানির সময় এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘তা না হলে কোনোভাবেই মামলার জট কমানো সম্ভব না।’

ভার্চুয়াল শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জানান, দেশের আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩০ লাখ। এই মামলা নিষ্পত্তির জন্য বর্তমানে যে পরিমাণ বিচারক রয়েছেন এর তিনগুণ বিচারক দরকার। নইলে কখনও মামলা জট কমানো সম্ভব হবে না। এ ছাড়া করোনার মতো পরিস্থিতিতে আইনজীবীরা ভার্চুয়াল কোর্টে অংশ নিলে মামলা পরিস্থিতির কিছুটা উত্তোরণ সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথককরণ হয়েছে। কিন্তু অনেক জেলায় এখনও চিফ জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি। কোথাও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জটিলতার সমাধান করে ভবন নির্মাণের তাগিদ দেয়া হয়েছে বারবার। আমি আর কতবার বলব।’

এ সময় সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘আমাদের কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। এজন্য বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আপনি নির্দেশনা দিতে পারেন। নইলে কৃষি জমি রক্ষা করা যাবে না।’

তখন ভার্চুয়ালি যুক্ত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি আইনজীবী মো. অজি উল্লাহ বলেন, মামলার সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। আগের চেয়ে এখন মামলার হারও বেশি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, নিম্ন আদালতে দুপুরের পর আইনজীবীদের পাওয়া যায় না। এজন্য সকালের পরিবর্তে বিকেলে জামিন শুনানির জন্য বিচারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে সেই সিদ্ধান্ত এখন বহাল রাখা যাচ্ছে না।

এ সময় আইনজীবীরা বলেন, শুধু আইনজীবী কেন নিম্ন আদালতে দুপুরের পর অনেক বিচারকও এজলাসে বসেন না।

রোজা, সামনে ঈদ, হাইকোর্টের বেঞ্চ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দস কাজল।

তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই অবস্থায় পুরো আদালত বন্ধ করা উচিত ছিল। তা করিনি। তারপরও কোর্ট চলছে। সরকারকে ধন্যবাদ জানাবেন, আইনটি করেছিল (আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আইন)। যে আইন এখনও ভারত-পাকিস্তানে হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনজীবীদের অসুবিধা হচ্ছে এটা বুঝি। কিন্তু জীবন তো আছে। জীবনের সঙ্গে জীবিকাও লাগবে। তারমধ্যে জীবন আগে, জীবিকা পরে।

‘আপিল বিভাগ চলে ৪০ জন স্টাফ দিয়ে। তার মধ্যে ৩৬ জন আসেন। আর হাইকোর্টের ১০টি বেঞ্চ চালাতে এক হাজার স্টাফ লাগবে। এই মুহূর্তে এত স্টাফ আনার সাহস আমি পাচ্ছি না।’

এ বিভাগের আরো খবর