আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তারে কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ কারণে চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ১০ জন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন রেজাউল করিম। তিনি অবশ্য এই সংগঠনের সদস্য নন।
গত ২৬ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব ও ২০১৩ সালের ৫ মের নাশকতার মামলায় হেফাজতের যেসব নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার মধ্যে সবশেষ সংযোজন মামুনুল হক যিনি গত কয়েক মাসে নানা উত্তেজক বক্তব্য দিয়ে আলোচিত হয়েছেন।
গত ১১ এপ্রিল ধরা পড়েন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। পরদিন গ্রেপ্তার হন কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ইলিয়াস হামিদী।
১৩ এপ্রিল ধরা পড়েন নারায়ণগঞ্জ হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশির উল্লাহ ও হেফাজতের সহপ্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফউল্লাহ।
সাম্প্রতিক তাণ্ডব ও ২০১৩ সালের ৫ মের ঘটনায় হেফাজতের ১০ জন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন, যাদের মধ্যে সব শেষ ধরা পড়েছেন মামুনুল হক
১৪ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন সহকারী মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজী। একই দিন সহকারী মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকেও আটক করা হয়।
১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের।
পরদিন ধরা হয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ ও ঢাকা মহানগর শাখার আমির জুনায়েদ আল হাবীবকে।
মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয় বিবৃতি দেয়ার দিন দুপুরে।
চরমোনাইয়ের পীর বলেন, ‘যে মুহূর্তে মহমারি প্রকট আকার ধারণ করছে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরম দুর্বিসহ হয়ে উঠছে, সর্বত্র মানুষ আতঙ্কিত, এহেন পরিস্থিতিতে আলেম ওলামাদের অযথা হয়রানি নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
সরকারের আচরণ অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের কোনো শ্রেণি ও পেশার মানুষই আজ নিরাপদ নয়। বাঁশখালীতে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং পবিত্র রমজানের ইফতার, সাহরি ও তারাবিহ ঠিক রেখে কর্ম ঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলে নশ্রমিকরা। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলি চালাতে হলো তা খতিয়ে দেখতে হবে।’