করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়া নিন্মআয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আবার নগদ অর্থ সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সহায়তা পাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবার।
এ বাবদ সরকারের ব্যয় হবে ৯৩০ কোটি টাকা।
নিন্ম আয়ের পরিবারগুলো পাবে আড়াই হাজার টাকা করে আর কৃষক পরিবার পাবে পাঁচ হাজার টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর পেস সচিব ইহসানুল করিম রোববার সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে এ তথ্য জানান।
করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আগেও দাঁড়িয়েছে সরকার। গত বছর ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।
২০২০ সালের ১২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্তদেরকে জিটুপি পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এবার নগদ সহায়তা দেয়া হবে ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় তহবিল’ থেকে।
এবার নতুন করে কোনো তালিকা করা হবে না। গত বছর যে তালিকা অর্থ বিভাগের তথ্য ভাণ্ডারে সংরক্ষিত আছে, তাদের মধ্য থেকেই সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচল ও ব্যবসায়িক এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মোটর শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিতদের বহুজনের আয়ের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেউ কাজ করলেও আয় কমছেন কম। এই অবস্থায় এবারও সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বাসস উল্লেখ করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে গত ৪ এপ্রিল ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘুর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলার ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর ফসলি জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৪ এপ্রিল ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘুর্ণিঝড়ে প্রায় এক লাখ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাক্কলন করেছে কৃষি বিভাগ
এতে এক লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। তাদেরকে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়ার বিষয়টি বিবেচেনার সুপারিশ করেছিল কৃষি মন্ত্রণালয়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করার কাজ চলছে।