রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ চারজনকে আটকের কথা জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার সন্ধ্যা ও রোববার দুপুরে দুইটি অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
ওই চারজন হলেন মো. রনি, মিলন মিয়া, মো. সোহেল ও মো. লিটন।
র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন তথ্যে জানা যায়, একদল মাদক কারবারি মাদক কেনাবেচার উদ্দেশ্যে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থান করছেন। এর ভিত্তিতে র্যাব-২-এর একটি আভিযানিক দল রোববার দুপুরে কারওয়ান বাজার নিউ সুপার মার্কেটের পাশের বিসমিল্লাহ রাইস এজেন্সি নামের দোকানের সামনে অভিযান চালায়। ওই সময় অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারি মো. রনি ও মিলন মিয়াকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, আটক দু্ইজনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ ৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় দুইজনকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটকের কথা জানায় র্যাব। ছবি: নিউজবাংলা
আটকদের বরাতে এএসপি মামুন বলেন, “এই অস্ত্র ব্যবহার করে রনি ও তার সহযোগীরা কারওয়ান বাজার এলাকায় বিভিন্ন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করত। যারা তার কাজের প্রতিবাদ করে বা চাঁদা দিতে অস্বীকার করে তাদের ওপর ‘হিট অ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে অতর্কিতে আক্রমণ করে নিমিষেই উধাও হয়ে যেত। রনি চাঁদাবাজি ছাড়াও মাদক ব্যবসা, চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে সমানভাবে জড়িত।”
তিনি বলেন, ‘তারা (আটক) বেশির ভাগ সময় সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সবকিছু ছিনতাই করত। তেজগাঁও রেললাইন এলাকার মাদকের ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করে রনি। রনির বিরুদ্ধে শুধু তেজগাঁও থানায় বিভিন্ন ধারায় ১৩টি মামলা রয়েছে।’
এ কর্মকর্তা জানান, রনি আটকের পর কারওয়ান বাজারের ভুক্তভোগী এক আলু ব্যবসায়ী র্যাবকে জানান, এক মাস আগে রনি ও তার সহযোগীরা ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. মিলন মিয়ার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রাতভর নির্যাতন করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে পরের দিন ছেড়ে দেয়।
আরও একটি ঘটনায় দুইজন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে এএসপি মামুন বলেন, ‘অপর এক অভিযানে র্যাব-২-এর আভিযানিক দল শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ চৌরাস্তার মোড়ে সাহাবুদ্দিন মার্কেটের জননী হোটেলের সামনে অভিযান চালিয়েছে। চাঁদাবাজি করা অবস্থায় মো. সোহেল ও মো. লিটন নামের দুইজনকে আটক করা হয়েছে।’
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, তারা মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বিভিন্ন অটোরিকশার চালকসহ ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চাঁদা আদায় করে আসছিল। বিভিন্ন সময় চাঁদা না দিলে অটোরিকশার চালকদের মারধরের পাশাপাশি যানবাহন চালাতে দিত না তারা।
র্যাব জানায়, ওই চারজনের মধ্যে কারওয়ান বাজারে আটক রনির বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা ছিল। তাকে সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।