রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন উর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘এখন মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা আগের মামলাগুলো সমন্বয় করে আগামীকাল আদালতে হাজির করে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে।’
এর আগে মামুনুলকে তেজগাঁও জোনের ডিসি কার্যালয় থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেয়া হয়েছিল।
ডিএমপি ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম রোববার বেলা পৌনে তিনটার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে মামুনুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি শিক্ষকতা করেন ওই মাদ্রাসায়।
গ্রেপ্তারের পর মামুনুলকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্ট-কাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয় মামুনুলের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, মামুনুল রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। এ জন্যই পরিকল্পিতভাবে একের পর এক সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছিলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রিসোর্ট-কাণ্ডের পর থেকে মামুনুল হককে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
৩ এপ্রিল রিসোর্ট-কাণ্ডের পরদিন ওই মাদ্রাসায় হেফাজত নেতারা জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। এরপর আর তাকে সাংগঠনিক কোনো কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি।