বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মামুনুল যে মামলায় গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:১৮

ডিসি হারুন জানান, মোহাম্মদপুর থানায় ২০২০ সালে করা মামলায় সোমবার মামুনুলকে আদালতে পাঠানো হবে। ডিএমপির পল্টন, মতিঝিল থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা ভাঙচুরের মামলায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, মোহাম্মদপুর থানায় ২০২০ সালে করা মামলায় সোমবার মামুনুলকে আদালতে পাঠানো হবে। ডিএমপির পল্টন, মতিঝিল থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

মোহাম্মদপুরের মামলার বিষয়ে ডিসি হারুন বলেন, ‘আমরা এই মামলাটি তদন্ত করছিলাম। তদন্তে মামুনুল হকের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। সে জন্য তাকে গ্রেপ্তার করেছি।’

মামুনুলকে গ্রেপ্তারে বাধা এসেছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো বাধা আমরা পাইনি। তাকে পুলিশ আগে থেকেই নজরদারিতে রেখেছিল।’

মামুনুলকে রোববার মাদ্রাসা থেকে বের করে আনতে সময় লাগার কারণ ব্যাখ্যা করে ডিসি হারুন বলেন, ‘সে ছিল অনেক উপরে। আমরা কথা বলে তাকে নিয়ে এসেছি, যে কারণে একটু সময় লাগছে।’

মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শিক্ষকতা করেন ওই মাদ্রাসায়।

গ্রেপ্তারের পর তাকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয় মামুনুলের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবসহ তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, মামুনুল রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। এ জন্যই পরিকল্পিতভাবে একের পর এক সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছিলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকে হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় এ নেতাকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

৩ এপ্রিল রিসোর্টকাণ্ডের পরদিন ওই মাদ্রাসায় হেফাজত নেতারা জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মামুনুল। এরপর আর তাকে সাংগঠনিক কোনো কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর