বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তারেক শামসুর রেহমানের শেষ দিনগুলো ছিল নিঃসঙ্গ

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৫৪

প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার শেষ সময়গুলো ছিল একাকিত্বের। বাসায় গৃহকর্মী ছাড়া আর তেমন কাউকে আসতেও দেখা যেত না।

স্ত্রী, মেয়ে থাকেন সুদূর আমেরিকায়। আর উত্তরায় রাজউকের অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টের একটি ফ্ল্যাটে একা থাকতেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান।

প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার শেষ সময়গুলো ছিল একাকিত্বের। বাসায় গৃহকর্মী ছাড়া আর তেমন কাউকে আসতে দেখা যেত না।শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দোলনচাপা-১ ভবনের ১৩০৪ নম্বর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তারেক শামসুর রেহমানকে উদ্ধার করা হয়। মরদেহের সুরতহালের পাশাপাশি আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ক্রাইমসিন ইউনিট। আলামত সংগ্রহ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

দোলনচাপা-২ এর ফ্ল্যাট মালিকদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আলী দেওয়ান নিউজবাংলাকে বলেন, পুলিশ আসার পর দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা হয়। বাথরুমের দরজার সামনে বমির ওপর পড়েছিল শামসুর রেহমানের মরদেহ। এ সময় তার পাগুলো ছিল বাথরুমের ভিতর এবং বাকি শরীর দরজার সামনে। পরনে ছিল সাদা রঙের স্যান্ডো গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট, ডান পায়ে একটি মোজা। মরদেহের পাশে রক্তও দেখা গেছে।তিনি বলেন, রেহমান সাহেবের ডায়বেটিস ছিল, এছাড়া অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও ছিল। যে কারণে তিনি আমেরিকায় গিয়ে চেকআপ করাতেন।মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শামসুর রেহমানের খালাতো ভাই বদরুল আলম। তিনি বলেন, শামসুর রেহমানের স্ত্রী ও এক কন্যা যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি একাই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। এছাড়া তার আপন ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শচীন মল্লিক বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, অধ্যাপক শামসুর রেহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ বলা যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর