পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়া মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শনিবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার এই আদেশ দেন।
এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে আখতারকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম খান। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।
অন্যদিকে, আখতারের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার পক্ষের আইনজীবীরা।
উভয় পক্ষের জামিন শুনানি শেষে বিচারক সে আবেদন নাকচ করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আখতারকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দেন।
এর আগে ১৪ এপ্রিল তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পেতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান।
গত মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানা এলাকা থেকে আখতারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল থানায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পুলিশ চিকিৎসা দিতে নিয়ে গেলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেস।
এ ঘটনায় ওই দিনই শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন পল্টন মডেল থানার এসআই রায়হান কবির।
মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বর্তমান সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, সোহরাব, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়।