বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবার ব্যবসা দখলের চেষ্টায় ছেলের ‘পাগলামো’

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০২:০৮

স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলেও প্রথম সন্তান‌কে পর্যাপ্ত প‌রিমাণ আ‌র্থিক সহায়তা করে আসছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তবে সেই ছেলে তৃপ্ত ছিলেন না। তিনি বাবার ব্যবসা দখলের চেষ্টায় ছিলেন। তিনি সহযোগীদেরকে নিয়ে তার বাবাকে পাবনা থেকে তুলে এনে ঢাকায় একটি হাসপাতালে মানসিক রোগী সাজিয়ে ভর্তি করেন। এরপর থেকে ব্যবসা চালাতে থাকেন।

ব্যবসায়ী বাবাকে জোর করে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন ছেলে। তবে চিকিৎসা নয়, উদ্দেশ্য বাবার ব্যবসা দখল।

তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই মতলব ফাঁস হয়ে যায়। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

শুক্রবার পুলিশ সদরদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা।

তিনি জানান, ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্মানের কথা বিবেচনা করে কারও নাম পরিচয় প্রকাশ করা হলো না।

ওই ব্যবসায়ী বিয়ে করেছেন দুটি। তবে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরেই করেন দ্বিতীয় বিয়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাবনা হতে এক নারী পুলিশের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানান, তার বাবাকে আগের ঘরের ছেলে কিছু ১৫ দিন আগে জোর করে তুলে নিয়ে যান।

তিনি পাবনা জেলায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার প্রথম স্ত্রীর সাথে বহু বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে।

স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলেও প্রথম সন্তান‌কে পর্যাপ্ত প‌রিমাণ আ‌র্থিক সহায়তা করে আসছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তবে সেই ছেলে তৃপ্ত ছিলেন না। তিনি বাবার ব্যবসা দখলের চেষ্টায় ছিলেন।

এক পর্যায়ে কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহযোগিতায় সেই ছেলে বাবাকে পথ থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগী হিসেবে ভর্তি করিয়ে দেয়। এরপর থেকে বাবার ব্যবসা দখলে নেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে অভিযোগ জানতে পেরে পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। আর ব্যবস্থা নিতে থানাকে নির্দেশনা দেয়।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমকেও বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।

মাসুদ আলম জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম এর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছিল পুলিশের মিডিয়া উইং।

পাবনা জেলা পুলিশের সার্বিক তৎপরতায় স্বল্পতম সময়ে ভুক্তভোগীর অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

গত ১৬ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাবনা জেলা পুলিশের একটি দল ঢাকার বসিলায় একটি হাসপাতাল থেকে সেই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। এ সময় তার স্ত্রী ও কন্যা সঙ্গে ছিলেন।

এ বিষয়ে ‘উপযুক্ত’ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এ বিভাগের আরো খবর