আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বাড়িতে ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর কাদের মির্জাও বাসায় ছিলেন না। তিনি বসুরহাট পৌরভবনে অবস্থান করছিলেন।
শুক্রবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে বসুরহাট পৌরসভার রাজাপুর গ্রামে কাদের মির্জার বাড়িতে এই হামলা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেলে করে ১০ থেকে ১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত বাড়ির ফটকে তিন-চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় আশপাশের লোকজন বের হয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার জন্য কাদের মির্জা তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান বাদলকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাদলের অনুসারী বাসস্ট্যান্ডের সবুজের নেতৃত্বে আট-দশটা মোটরসাইকেল মহড়া নিয়ে আমার ভাই সাহাদাত হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরপর পাঁচটা ককটেল হামলা করে। এতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।’
তাৎক্ষণিকভাবে বাদলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বসুরহাটে ভোটের আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আলোচিত হন কাদের মির্জা। সে সময় তিনি একের পর এক বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে। ভোটের পরও দুইজন পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য রাখেন।
তবে পরে কাদের মির্জা ও বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানি হয় আর এরপর থেকে কাদের মির্জা তার বক্তব্যে বারবার বাদলকে আক্রমণ করছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল হক রনি জানান, খবর পেয়ে কাদের মির্জার বাড়ির সামনের বসুরহাট-দুধমুখা সড়ক থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছোট ভাই সাহাদাত হোসেন দুইজনের নাম বলেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’