অননুমোদিত মেডিক্যাল ডিভাইস আমদানি, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিকেল টেস্টিং কিট এবং রি-এজেন্টে মেয়াদ শেষে নতুন তারিখ বসিয়ে বিক্রির অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযানে জালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত র্যাব-২ এর একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়া এলাকায় বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বনানী এলাকার এক্সন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস এবং হাইটেক হেলথকেয়ারের গুদামে এই অভিযান চালায়। র্যাবের পাশাপাশি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও অভিযানে ছিলেন।
গ্রেপ্তার হয়েছেন বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী শামীম মোল্লা, ম্যানেজার শহীদুল আলম, এক্সন টেকনলজিসের এমডি মাহমুদুল হাসান, হাইটেক এমডি এস এম মোস্তফা কামাল, বায়োল্যাব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির, একই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী জিয়াউর রহমান হিসাবরক্ষক, মো. সুমন, মার্কেটিং অফিসার জাহিদুল আমিন পুলক, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা।
গ্রেপ্তার ৯ জন
এ সময় বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং জাল মেডিক্যাল টেস্ট কিট ও রি-এজেন্ট জব্দ করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আসামিরা দেশি-বিদেশি আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে সংগ্রহ করে বিশেষ মুদ্রণ যন্ত্রের সাহায্যে টেম্পারিং করে বর্ধিত মেয়াদ বসিয়ে সেগুলো বাজারজাত করে আসছিল।
জন্ডিস, ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, করোনা, ক্যানসার প্রভৃতি রোগসহ অন্যান্য প্যাথোলজিক্যাল টেস্টের জন্য এসব কিট ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
‘এমন কি এইডস রোগ নির্ণয়ের জন্য নির্ধারিত প্যাথোলজিক্যাল টেস্ট কিট ও রি-এজেন্টও রয়েছে এই তালিকায়, যা তাদের সংরক্ষণে মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া যায়’- বলেন র্যাব কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, ২০১০ সাল থেকেই এই প্রতিষ্ঠানগুলো এই কাজ করে আসছিল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, ‘তারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই কিট সরবরাহ করত। তদন্তে ওইসব প্রতিষ্ঠানের নাম বের হয়ে আসবে।’