বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজতের আরও এক শীর্ষ নেতা পুলিশের হেফাজতে

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৪৮

গ্রেপ্তার মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের হেফাজতের ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের প্রয়াত আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনীর জামাতা।

কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক হেফাজতে ইসলামের আরও একজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের মামলায়।

এ নিয়ে আট বছর আগের ওই মামলায় তিন জনকে ধরা হয়েছে। এর বাইরে গত মার্চ থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডবের ঘটনায় করা মামলায় ধরা পড়েছেন আরও অন্তত তিন জন শীর্ষ নেতা।

গ্রেপ্তার মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের হেফাজতের ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের প্রয়াত আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনীর জামাতা।

পুলিশ জানায়, শাপলা চত্বর ছাড়াও হেফাজতের সাম্প্রতিক নানা সহিংসতার ঘটনাতেও মাওলানা যোবায়েরের সম্প্রক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে লালবাগের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ। তাকে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

তিনি জানান, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের অবস্থানকে ঘিরে দিনভর যে তাণ্ডব চলছে, সে ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা একটি মামলায় নাম ছিল মাওলানা যোবায়েরের।

গত ২৬ ও ২৮ মার্চ ও ৩ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় হেফাজত কর্মীরা

আট বছর আগের সেই ঘটনায় সে সময় মামলা হয় মোট ৫৩টি। তবে ছয়টি মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দিলেও ৪৭টি মামলা স্থবির হয়ে ছিল।

হেফাজত কর্মীদের সাম্প্রতিক তাণ্ডবের ঘটনায় সরকার সেই মামলাগুলো আবার সচল করছে।

গত ১১ এপ্রিল ধরা পড়েন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। পরদিন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

দুই দিন পর গ্রেপ্তার হন হেফাজতের সহপ্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফউল্লাহ। এক দিনের রিমান্ড শেষে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকেও ২০১৩ সালের ৫ মের তাণ্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক সহিংসতায় হেফাজত দমনে সরকারের কঠোর অবস্থান

গত ২৬ মার্চ থেকে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় হেফাজত কর্মীরা। গুলিতে নিহত হয় চারজন।

দুই দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়।

৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারী নিয়ে মামুনুল হক অবরুদ্ধ হওয়ার পর হেফাজত কর্মীরা ওই এলাকা ছাড়াও মুন্সিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে তাণ্ডব চালায়।

ওই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা হেফাজতকে সতর্ক করে বক্তব্য রাখতে থাকেন।

২৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জে সহিংসতার মামলায় ১৩ এপ্রিল গ্রেপ্তার জন নারায়ণগঞ্জ হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশির উল্লাহ।

১২ এপ্রিল নাশকতার পরিকল্পনা, ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানো, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও ধর্মীয় অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে মামুনুল হকের তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার হন কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ইলিয়াস হামিদী। পরদিন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

১৪ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন হেফাজতের সহকারী মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজী। পরদিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের মামলায় আসামি করা হয়েছে হেফাজত নেতা মামুনুল হককেও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটিয়া, হাটহাজারীতে শতাধিক হেফাজতকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাঙ্গামার পর মারা যাওয়া হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগ এনে করা মামলায় গত রোববার যে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে সেখানেও বাবুনগরীকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর