করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার কারণে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন রাস্তায় রাস্তায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি।
অকারণে বা মুভমেন্ট পাস ছাড়া বের হলেই গুনতে হয়েছে জরিমানা। বহুজনকে গন্তব্যে যেতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রধান সড়কগুলোতে কিছুদূর পর পর বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। সকালে ওৎসুক মানুষ সড়কে পরিস্থিতি দেখতে নেমে আসতে চাইলেও পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে পরে প্রধান সড়কগুলো ফাঁকাই দেখা যায়।
মহল্লাবাসীর মধ্যে দেখা গেছে সচেতনতা। এলাকায় যেন যানবাহন ঢুকতে না পারে, সে জন্য নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। কোনো যানবাহনই তল্লাশির বাইরে ছিল না
তবে নির্ধারিত সময়ের পরেও মহল্লায় দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। সেগুলোতে যারা গেছেন, তাদের প্রায় সবাইকে মাস্ক পরা দেখা গেছে।
গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন পরীক্ষা করছে পুলিশ
দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা ভাইরাস গত বছরের চেয়ে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ার কারণে গত ২৯ মার্চ থেকে জনসমাগমে বিধিনিষেধ আরোপে কাজ না হওয়ায় ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয় বাস।
মিরপুর থেকে আমিনবাজারে বাড়িতে যাচ্ছিলেন এই দুই জন। কিন্তু ছিল না মুভমেন্ট পাস। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়
তবে তৃতীয় দিনে মহানগরগুলোতে বাস চালু করে দেয়া হয়। কিন্তু এর এক সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান, সব ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
বিমানবন্দর সড়কে জোয়ার সাহারা এলাকায় এমন ফাঁকা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি
সড়কে, মহল্লায় অল্প কিছু রিকশা আর অনুমোদিত প্রাইভেট কার আর ট্রাক ছাড়া যানবাহন দেখা গেছে কমই।
পুলিশের নজরদারির মধ্যেও বহু মানুষকে নানা অযুহাতে বাাইরে যেতে দেখা যায়। এই ব্যক্তি নিজেকে চিকিৎসক দাবি করলেও পরিচয়ের প্রমাণ দিতে পারেননি
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে এই দম্পতি আসেন পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তবে সেখানে কোনো আয়োজন ছিল না
রমজানে পুরান ঢাকার চকবাজারে ইফতার সামগ্রীর যে ব্যাপক আয়োজন থাকে, তা দেখা যায়নি প্রথম দিন। ক্রেতারা এসে ঘুরে গেছেন সেখান থেকে
চকবাজারে ঐতিহ্যবাহী ইফতার সামগ্রীর কিছুটা দেখা গেছে কয়েকটি দোকানে। তবে তাও পরিমাণে ছিল খুবই কম
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মহল্লাবাসীকেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হতে দেখা যায়। ছবিটি শ্যামলী এলাকার