করোনা নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এরমধ্যে অতি জরুরি প্রয়োজনে যারা চলাচল করবেন তারা পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’ নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারি মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা নিউজবাংলাকে জানান আবেদনের প্ল্যাটফর্ম movementpass.police.gov.bd সাইটে দ্বিতীয় দিনে আবেদনের জন্য হিট পড়েছে ৭ কোটি ৮১ লাখ। প্রতি মিনিটে হিট পড়ে ২১ হাজার ৩৩৭টি করে।
এর মধ্যে আবেদনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছেন ৩ লাখ ১০ হাজার জন। আর আবেদন ইস্যু করা হয়েছে আড়াই লাখ জনের।
সোহেল রানা বলেন, ‘ওয়েবসাইট চালুর পরই হাজারো মানুষ একসঙ্গে আবেদনের চেষ্টা করার প্রথমদিন মুভমেন্ট পাস পেতে সময় বেশি লেগেছে। দ্বিতীয় দিনে এসে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। ওয়েবসাইটের গতি বাড়ানোর কাজ চলছে।’
আবেদনের নিয়মাবলী
০১. https://movementpass.police.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পাসের জন্য আবেদন করতে হবে।
০২. শুরুতেই একটি সক্রিয় মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। আবেদনকারী কোথা থেকে কোথায় যাবেন তা জানতে চাওয়া হবে। সেইসব তথ্য ধাপে ধাপে প্রদান করতে হবে। এরপর আবেদনকারীর একটি ছবি আপলোড করে ফর্মটি জমা দিতে হবে।
০৩. জমা দেয়া ফর্মে আবেদনকারী প্রদত্ত তথ্যাবালীর ভিত্তিতে মুভমেন্ট পাস ইস্যু করা হবে। ওয়েবসাইট থেকেই পাসটি ডাউনলোড করে সংগ্রহ করা যাবে।
০৪. চলাচলের সময় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে পাস প্রদর্শন করতে হবে।
করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে লকডাউনে প্রয়োজনীয় চলাচল নিশ্চিত করতে মুভমেন্ট পাস সংগ্রহের জন্য নাগরিকদের অনুরোধ করেছে পুলিশ।
মুভমেন্ট পাস উদ্বোধনের সময় মঙ্গলবার আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাজার, করোনার টিকা গ্রহণ বা অতিপ্রয়োজনীয় কাজ থাকলে বের হওয়া যাবে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর যাওয়ার প্রয়োজন হলেও মুভমেন্ট পাস লাগবে।’
কেউ মিথ্যা বলে মুভমেন্ট পাস নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘ঢাকার বাইরে গেলে মুভমেন্ট পাস লাগবে। এছাড়াও একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে একটি গাড়ির নম্বর দিয়ে একাধিক পাস নেয়া যাবে না।’
এমন মহামারির সময়ে কেউ মিথ্যা বলে পাস নেবেন না বলে আশা প্রকাশ করেন আইজিপি। বলেন, ‘মুভমেন্ট পাস নিতে আমরা কাউকে বাধ্য করছি না। এটাকে সাপোর্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে।’