বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউনের ঢাকায় কী নিরাপত্তা

  •    
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:২৫

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনের সময় বহু মানুষ গ্রামে ফিরেছে। সেক্ষেত্রে নগরের অনেক বাসাবাড়ি, এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন মানুষ শূন্য। ঈদের ছুটির সময় রাজধানীতে যে ধরনের কড়া নিরাপত্তা থাকে, এই লকডাউনেও সেটাই থাকবে।’

লকডাউনে প্রায় সুনসান রাজধানী, দিনেদুপুরেও খাঁ খাঁ রাস্তা। কঠোর এই লকডাউন শুরুর আগেই ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেছেন কয়েক লাখ মানুষ।

অনেকটাই ফাঁকা রাজধানীতে এই লকডাউনে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে অনেকের। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আশ্বস্ত করে বলছে, নগরজুড়ে জোরদার করা হয়েছে তাদের নজরদারি। সেই সঙ্গে অনুমতিহীন অপ্রয়োজনীয় চলাচল ঠেকাতে নেয়া হয়েছে কড়া ব্যবস্থা।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউ শুরুর পর আট মাসে ঢাকাসহ সারা দেশেই অপরাধের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল।

গত মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আট মাসে রাজধানীসহ সারা দেশে ছিনতাইয়ের মামলা হয় ৩৫৬টি। ২০১৯ সালে একই সময়ে এ ধরনের ঘটনা ছিল ১৯৩টি।

পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি ছিনতাই হয়েছে চট্টগ্রাম শহরে। গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের আট মাসে চট্টগ্রাম নগরীতে ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ৬২টি। ঢাকা মহানগরে এ ধরনের মামলার সংখ্যা ৫১। একই সময়ে মহানগরের বাইরে চট্টগ্রাম রেঞ্জ বা অঞ্চলের জেলাগুলোয় ছিনতাইয়ের মামলা হয় ৫১টি, ঢাকা রেঞ্জে ৩৫টি, সিলেট মহানগর এলাকায় ২৯টি ও ময়মনসিংহ রেঞ্জে ২৫টি মামলা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা নিউজবাংলাকে বলেন, এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

এর মধ্যে ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ত্রাস সৃষ্টি, সম্পত্তি দখলসহ ছয় ধরনের অপরাধ প্রবণতা ছিল বেশি। ২০১৯ সালে এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের সংখ্যা ছিল ৩২০টি, গত বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯৮টিতে।

লকডাউন নিশ্চিতে রাজধানীর সড়কে সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ঈদের ছুটির সময় রাজধানীতে যে ধরনের কড়া নিরাপত্তা থাকে, এই লকডাউনেও সেটাই থাকবে।

তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সময় বহু মানুষ গ্রামে ফিরেছে। সেক্ষেত্রে নগরের অনেক বাসাবাড়ি, এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন মানুষ শূন্য।

‘এমন পরিস্থিতির সুযোগে চুরি, ছিনতাই বা অন্যান্য অপরাধ যাতে বেড়ে না যায় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। বিশেষ করে ইফতার এবং সেহরির পরপর এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে, তাই সে সময়ে আমাদের টহল জোরদার থাকবে।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এ সময় কেউ যদি কোনো বিপদে পড়েন সেক্ষেত্রে ৯৯৯ এ কল করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা পাওয়া যাবে।’

এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে কড়া অবস্থানে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মহামারি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত ১৩ দফা বিধি নিষেধের কেউ ব্যত্যয় ঘটালে জেল, জরিমানার মুখে পড়তে হবে।’

পুলিশের এলিট ফোর্সের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘লকডাউনের সময় অনেক ক্ষেত্রে মানুষ রাস্তায় ঘোরাঘুরি না করলেও গোপনে দোকানে, মহল্লায় জমায়েত হয়। এবার তেমন কিছু যাতে না হতে পারে সে জন্য বাড়তি টহল এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এই নজরদারি রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করবে।’

চুরি, ছিনতাই রোধে সারা দেশেই র‍্যাবের চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম চলছে বলেও তিনি জানান।

এ বিভাগের আরো খবর