করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারের দেয়া কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর। এর মধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘরোয়াভাবে বা সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনটি উদযাপন করেছে প্রতীকীভাবে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বুধবার সকালে একটি ভিডিওবার্তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে পাঠিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।
পয়লা বৈশাখের আগে ধারণ করা ভিডিওটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক নিয়ে অনুষদের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন দেখা যায়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ওই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ চারুকলা অনুষদের কিছু সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘আবহমান কাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন। নানা বিবেচনায় বাংলা-১৪২৮ গুরুত্ববহ একটি বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন ঘটল।’
করোনাসৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করায় উপাচার্য চারুকলা অনুষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছর পয়লা বৈশাখ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।
‘আমরা আশা করি ভবিষ্যতে মহামারি-পরবর্তী বাংলাদেশে আগের রূপে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে পরব।’
নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী এই মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদকে ধন্যবাদ জানান।