করোনা নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ কার্যকর হচ্ছে বুধবার থেকে। এই সময়ে গ্রাহকের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল দেয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় মানুষের চলাচল ও কার্যক্রমে বিধি-নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বুধবার থেকে (১৪ থেকে ২১ এপ্রিল) আটদিনের জন্য চলাচলে কঠোর বিধি-নিষেধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
এ সময়ে সবসরকারি-বেসরকারি অফিসের সঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাংকের সেবা। ব্যাংকের সেবা বন্ধ থাকার কারণে এই আটদিনে জরুরি পরিসেবা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল কিভাবে নেয়া হবে তা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।গ্রাহকরা জানায়, যদি নিদির্ষ্ট সময়ে তারা বিল পরিশোধ করতে না পারে তবে জরিমানা করার বিধান আছে। তাই এই আটদিন বিলম্ব বিল মওকুফ করা হবে কিনা অথবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে বিল দেয়া হবে তা পরিষ্কার নয়।
এ বিষয়ে তিতাসের কর্পোরেট ডিভিশনের সচিব ইয়াকুব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখনও তারা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
তিনি বলেন, ‘সরকার থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। তবে প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে রিচার্জ করা হয় বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। তাই তাদের সে সুবিধা থাকবে।’
তবে এই কর্মকর্তা তিতাসের জরুরি সেবা সংক্রান্ত নম্বর ১৬৯৬ এ ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানার কথা বলেন। ওই নম্বরে কল দিলে একজন প্রতিনিধি জানান, তারা বিল সংক্রান্ত এখনও কোনো নির্দেশনা পাননি। তবে বিকেলের মধ্যে হয়ত এ বিষয়ে তাদের কাছে নির্দেশনা আসতে পারে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান নিউজবাংলাকে বলেন, বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত তারা এখনও নেননি।
বিলম্ব বিল দিলে কোন জরিমানা করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি।’
বিলের বিষয়ে কি ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা জানতে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানকে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর জানাননি তিনি।করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত বছর মার্চের শেষ দিকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানায়। প্রায় দুই মাসের ওই পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে ব্যাংক চালু থাকলেও বিল পরিশোধের জন্য সেখানে গিয়ে ভিড় করা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।
তখন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎ বিল বিলম্ব ফি ছাড়াই পরে জমা দেয়া যাবে।
আর গ্যাসের আবাসিক গ্রাহকরা কোনো ধরনের বিলম্ব ফি ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিল জুন মাসের সুবিধাজনক সময়ে পরিশোধ করতে পারবেন বলে তখন বলা হয়েছিল।