বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সহিংসতার প্রতিবাদে হেফাজতের পদ ছাড়লেন নায়েবে আমির

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ১১:৫৮

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে মার্চের শেষ দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ ও হরতালের নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজত।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন হেফাজতে ইসলামের এক নায়েবে আমির (সহ সভাপতি)। পদত্যাগকারী বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান।

রোববার বেলা বারোটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত থেকে নিজের পদত্যাগের কথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ বলেন, ‘স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে আগের ও পরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এহেন পরিস্থিতিতে হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) এর মত মহান নেতৃত্বের শূন্যতা অনুভব করছি।

‘আমি নিজের অনুভূতি ও উপলব্ধি থেকে বলছি হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর ইন্তেকালের পর হেফাজতে ইসলামের যোগ্য নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গ্রুপিং ও দলাদলি সৃষ্টি হয়েছে নিজেদের অঙ্গনে। ভিন্ন দল ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ অনুপ্রবেশ করেছে। আর তারাই তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে হেফাজতে ইসলামকে অত্যন্ত সুকৌশলে মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে।’

আব্দুল্লাহ জানান, এরই অংশ হিসেবে হেফাজতে ইসলামকে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছে। ওই বিতর্কিত বহিরাগত সংগঠনের লোকজনই হেফাজতে ইসলামের নেতাদের অধিকাংশের মতামত উপেক্ষা করে হরতালের মতো জনভোগান্তকর কর্মসূচি পালনে বাধ্য করেছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ পূর্বে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো কর্মসূচী বা কার্যক্রম পরিচালিত হলেও সম্প্রতি কিছু ব্যক্তির নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমি হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির (সহ সভাপতি) পদ থেকে ইস্তফা প্রদান করলাম।’

ভিন্ন মতের ভিন্ন দলের কারা অনুপ্রবেশ করেছে ও তাদের নিজস্ব এজেন্ডা কি সে প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না, যা ঘটছে আপনাদের সবার চোখের সামনেই ঘটছে। আমি শুধু আমার পদত্যাগের বিষয়টি পরিষ্কার করলাম।’

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বিব্রত কি না জানতে চাইলে মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়, এনিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে মার্চের শেষ দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ ও হরতালের নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজত।

মোদির সফরের চার দিন আগে তারা সংবাদ সম্মেলন করে অঙ্গীকার করে রাজপথে কোনো কর্মসূচি থাকবে না। কিন্তু এ অঙ্গীকার মানেনি ধর্মভিত্তিক সংগঠনটি। মোদির সফরের সময় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার অভিযোগ এনে ২৭ মার্চ হরতাল ডেকেছিল তারা।

ওইদিন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিগত কার্যালয়, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক, ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, গণগ্রন্থাগার, পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়, পৌরসভাসহ বহু সরকারি বেসরকরি স্থাপনায় হামলা হয়েছে। ব্যাপক সহিংসতা চালানো হয় হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জেও।

হেফাজত কর্মীদের তাণ্ডবের প্রতিক্রিয়ায় সংগঠন ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন আরেক নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল। পরে অবশ্য অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর আবার স্বপদে ফিরে আসেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর