বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঝুঁকি নিয়ে ঘরমুখী যাত্রীদের ঢল ঘাটে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ১১:২৭

ভোর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামলাতে ঘাট কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। কোনো কোনো ঘাটে নদী পাড়ি দিতে স্পিডবোট ও লঞ্চে উঠছে মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশ অনুযায়ী এগুলোও বন্ধ থাকার কথা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বুধবার থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করায় দুই দিন ধরে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ।

ঘরমুখী এই যাত্রীরা করোনা ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে মঙ্গলবারও ভিড় করেছে ঘাটগুলোতে।

ভোর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামলাতে ঘাট কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। কোনো কোনো ঘাটে নদী পাড়ি দিতে স্পিডবোট ও লঞ্চে উঠছে মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশ অনুযায়ী এগুলো বন্ধ থাকার কথা।

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে সকালে দেখা গেছে নদী পাড়ি দিতে অপেক্ষায় আছে হাজারের বেশি যানবাহন। এর বেশির ভাগই ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি।

পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে সরকারি নির্দেশ মেনে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ট্রলার বোঝাই করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, এই নৌপথে চলছে ১৪টি ফেরি।

লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের বেশি চাপ পড়েছে। এই বাড়তি চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা চলছে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথেও দুইদিন ধরে চাপ পড়েছে যাত্রীদের।

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে নদী পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন অনেকে।

ওই ঘাটে সকালে গিয়ে কথা হলো ফরিদপুর সদরের হাফসা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সারা রাস্তা ভালো আসলেও বাড়ির কাছে পাটুরিয়া ঘাটে আইসা আটকা পরলাম। গরমের মধ্যে খুব খারাপ লাগছে।’

পাটুরিয়া ঘাটে সোমবার রাত থেকেই নদী পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায় এই যানবগুলো

ট্রাকচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, তিনি সোমবার সন্ধ্যা থেকে এখানে বসে আছেন।

‘ট্রাক বোঝাই কাঁচা মরিচ। এই মরিচ নিয়া যাইতে হবে মাদারীপুর। এক রাইত পার হয়ে বেলা ১১টার কাছাকাছি বাজে এখনও ফেরির টিকিট পাইলাম না। সারা রাস্তায় ভালো থাকলেও ঘাটে আইলেই অপেক্ষা আর অপেক্ষা।’

গোপালগঞ্জ সদরের অহিদুল ইসলাম স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঘাটে এসেছেন ছোট পিকআপে চড়ে। তিনি জানান, ঢাকা থেকে সোমবার রাতে রওনা হয়ে রাত আড়াইটার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের অদুরে নালী এলাকায় পৌঁছেছেন। কিন্তু যানবাহনের চাপের কারণে ফেরিঘাটে পৌঁছাতে সকাল হয়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ভোররাত থেকেই এই ঘাটে চাপ বেড়েছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত সেখানে নদী পাড়ি দিতে অপেক্ষায় দেখা গেছে প্রায় পাঁচশরও বেশি যানবাহন।

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ আশপাশের জেলার মানুষ টেম্পো, অটো কিংবা প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাসে করে ঘাটে এসেছে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথেও দেখা গেছে যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ

কারও মধ্যে নেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। সবার মধ্যেই বাড়ি ফেরার তাড়া।

স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নেই নজরদারিও।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে এখন চলছে ১৫টি ছোট-বড় ফেরি। এখানে দেখা যায়নি ফেরি ছাড়া অন্য কোনো নৌযান।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম জানান, জরুরি যানবাহনের নদী পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। সেই সুযোগে শ শ মানুষ ফেরি পার হচ্ছে।

ঘাটগুলোতে যাত্রীদের এই চাপ শুরু হয় সোমবার থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর