বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাণ্ডব: গ্রেপ্তার আরও ২৪

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফায় তাণ্ডবের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় ৪৯টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৩৫ হাজার। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৩টি, আশুগঞ্জ থানায় তিনটি, সরাইল থানায় দুটি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ ৮৪ জন, আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ১৩ জন এবং সরাইল থানা পুলিশ নয় জনকে গ্রেপ্তার করে।

মার্চের শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় সংগঠনের ইসলামের আরও ২৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এতে বলা হয়, এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট ১০৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম মাদ্রাসা ছাত্র মাহাবুবুর রহমান। তিনি গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতালের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার বিকেলে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাহাবুবুর ওই গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর এলাকার ভাদুঘর মাদ্রাসার কামিল বিভাগের ছাত্র।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফায় তাণ্ডবের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় ৪৯টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৩৫ হাজার। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৩টি, আশুগঞ্জ থানায় তিনটি, সরাইল থানায় দুটি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়।

এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ ৮৪ জন, আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ১৩ জন এবং সরাইল থানা পুলিশ নয় জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হামলা করে হেফাজতের সমর্থকরা। এ সময় উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় মাদ্রাসা ছাত্র মাহবুবুর।

তিনি পালিয়ে গিয়ে কুমিল্লায় চিকিৎসা নেন। পরে বাড়ি ফিরলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পুলিশ ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে। এ ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।

তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মেয়রের বাসভবন, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়সহ অর্ধশতাধিক সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এ বিভাগের আরো খবর