বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মুভমেন্ট পাস’: আসা-যাওয়ার আলাদা আবেদন

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২১ ২১:২১

১৪টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে এই পাস। প্রতিটি মুভমেন্ট পাস নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। একটি পাস একবার ব্যবহারযোগ্য। অর্থাৎ প্রতিবার যাতায়াতের জন্য পাস নিতে হবে। যাওয়া এবং আসার জন্য দুটি আলাদা পাসের আবেদন করতে হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বুধবার থেকে মানুষের চলাফেরায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হচ্ছে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজনে নাগরিকদের চলাফেরায় দরকারে ‘মুভমেন্ট পাস’ দেবে পুলিশ। এই পাসের মেয়াদ হবে সীমিত। আসা-যাওয়ার জন্য লাগবে দুটি পাস; এ জন্য আবেদনও করতে হবে আলাদা আলাদা।

‘মুভমেন্ট পাস’ পেতে নির্দিষ্ট অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। দেখাতে হবে উপযুক্ত কারণ। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে অ্যাপটি উদ্বোধন করা হবে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা।

তিনি জানান, পাস পেতে movementpass.police.gov.bd লিংকে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। ১৪টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে এই পাস। প্রতিটি মুভমেন্ট পাস নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। একটি পাস একবার ব্যবহারযোগ্য। অর্থাৎ প্রতিবার যাতায়াতের জন্য পাস নিতে হবে। যাওয়া এবং আসার জন্য দুটি আলাদা পাসের আবেদন করতে হবে।

সোহেল রানা বলেন, জরুরি প্রয়োজনে চলাচলে মুভমেন্ট পাস পেতে মোবাইলে নাম, মোবাইল নম্বর, যাত্রা শুরুর স্থান, গন্তব্য, আইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, যাত্রার কারণ ইত্যাদি তথ্য পূরণ করার পর পুলিশ অনলাইনে একটি পাস ইস্যু করবে। অনলাইনে ইস্যু করা পাসটিতে যাতায়াতের যাবতীয় তথ্য থাকবে। সঙ্গে একটি কিউআর কোড স্ক্যানার থাকবে, যা স্ক্যান করে বিভিন্ন চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরা সহজেই অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তির যাতায়াত নিশ্চিত করতে পারবেন।

করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আগামী বুধবার শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধে কী করা যাবে, কী করা যাবে না, তার তালিকা দিয়েছে সরকার। জানানো হয়েছে এবার যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি বন্ধ থাকবে, বাসার বাইরে যাওয়া যাবে শর্ত সাপেক্ষে।

বাজার খোলা থাকবে ছয় ঘণ্টা। নিত্যপণ্যের ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের দোকান।

এ বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যাতে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

০১. সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিস নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

০২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

০৩. সব পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

০৪. শিল্পকারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে।

০৫. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

০৬. অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদান সাপেক্ষে টিকা নিতে যাতায়াত করা যাবে।

০৭. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল বিক্রয় বা সরবরাহ (অনলাইন/টেকওয়ে) করা যাবে। শপিং মলসহ অন্য দোকান বন্ধ থাকবে।

০৮. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

০৯. বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষিশ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।

১০. সারা দেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১১. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেবেন।

১২. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমা ও তারাবিহর নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে।

১৩. উপর্যুক্ত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে।

১৪. এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

গত মার্চের শেষ সময়ে ক্রমাগত করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে প্রথম ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে ৩ এপ্রিল এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা দেয় সরকার, যা ৫-১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলে।

এর মধ্যেই রোববার জানানো হয়, সোম, মঙ্গলবারও সেই কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর