করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি আর সরকার ঘোষিত লকডাউন বিবেচনা করে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।
২০২০ সালেও করোনা সংক্রমণের কারণে এই আয়োজন বাদ দেয়া হয়েছিল।
তবে প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি শোভাযাত্রার মুখোশ ও প্রতীক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রদর্শন ও সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েত করা যাবে না। মহামারি উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকলের সদয় সহযোগিতা কামনা করেছে।’
এর আগে ২৯ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এক সভায় চারুকলা অনুষদ চত্বরে ১০০ জন নিয়ে সীমিত পরিসরে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বিবেচনা করে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মেলে বাংলাদেশে। গত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংক্রমণ কমে আসলেও মার্চ থেকে আবার বাড়তে থাকে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় গত ২৯ মার্চ থেকে জনসমাগম সীমিত করার নির্দেশনা আসে।
এতেও কাজ না হওয়ায় ৫ এপ্রিল থেকে দেয়া হয় এক সপ্তাহের লকডাউন। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই লকডাউন শিথিল হয়ে পড়ার পর ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। জানানো হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরেই যাওয়া যাবে না। বন্ধ থাকবে সব ধরনের যানবাহন।