বিতর্কিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানির বিরুদ্ধে গাজীপুরে আরেকটি মামলা হয়েছে। এবার মামলা হয়েছে বাসন থানায়।
মামলায় মাদানির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর বক্তব্য দেয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার সকালে গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল আইনে মামলাটি করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার গাজীপুরের গাছা থানায় মাদানির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে র্যাব।
রোববার করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কিছু বিপদগামী ধর্মীয় লেবাসধারী লোক দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি বিনষ্ট করার জন্য বদ্ধপরিকর। আসামি রফিকুল ইসলাম মাদানি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নলজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ‘মারকাজুল নূর আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায়’ বসে দেশদ্রোহীতামূলক ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালান। একইসঙ্গে নাশকতমূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।
কিছু বক্তা ওয়াজ মাহফিলের নামে ধর্মীয় বক্তব্যের আড়ালে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদান করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম রফিকুল ইসলাম মাদানি। তার বক্তব্য সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার পেছনে অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে।
তিনি গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অপমানজনক ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
এ ছাড়া রফিকুল দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য ফেসবুক, ইন্টারনেট ও ইউটিউবে আপলোড করার মধ্য দিয়ে দেশে বিরাজমান সহিংসতা ও অস্থিরতার মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছেন। তার এসব বক্তব্যের ভিডিও ইউটিউবে ‘ইসলামিক জীবন’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে আপলোড করা হয়েছে।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাসন থানায় ডিজিটাল আইনে রোববার একটি মামলা হয়েছে।
৭ এপ্রিল ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। পরদিন র্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাদানির বিরুদ্ধে মামলা করেন।