গণছাঁটাই বন্ধ, পদন্নোতি, ইনক্রিমেন্ট ও ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের দাবিতে দৈনিক জনকণ্ঠ ভবনে তালা দিয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন সংবাদকর্মীরা।
রাজধানীর ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনের সামনে রোববার দুপুর থেকে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
জনকন্ঠের সংবাদকর্মীদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ডিআরইউ, ক্র্যাব ও অন্যান্য গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও নেতারা।
দৈনিক জনকণ্ঠ থেকে ছাঁটাই হওয়া সাব-এডিটর সাজু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক মাস হয়ে গেছে আমাদের দাবির কোনো সমাধান হয় নাই। মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু তিনি সমাধান না করেই বিদেশে চলে গেছেন।
‘আজ মালিক পক্ষকে বলেছি আমাদের চাকরি ফেরত চাই। আমরা অফিসে ঢুকতে গেলে ঢুকতে দেয় নাই। পরে তারা তালা মেরে দেয় গেটে। তাদের তালা মারা দেখে আমরাও গেটে আরেকটা তালা মেরে দিয়েছি। যাতে ভেতরের কেউ বের হতে না পারে।’
সদ্য চাকরি চলে যাওয়া এক সিনিয়র রিপোর্টারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মালিক মারা যাওয়ার পর তার স্মরণে আমরা শোক সভা করেছি। এই শোক সভায় জনকণ্ঠে কর্মরত একজন সিনিয়র সাংবাদিক যোগ দেয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
দাবিদাওয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন সাজু আহমেদ।
এ সময় প্রতিবাদ সভায় সংবাদকর্মীরা বলেন, এক মাস আগে সংবাদকর্মীদের অন্যায়ভাবে টার্মিনেশন লেটার ইমেল করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বেতনভাতা বন্ধ, ইনক্রিমেন্ট না দিয়ে গণহারে কর্মী ছাঁটাই করছে জনকন্ঠের মালিকপক্ষ।
তারা বলেন, সব অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং চাকরি হারানো সব সংবাদকর্মীর চাকরি এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন সংবাদকর্মীরা।
এর আগে ১৫ মার্চ জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠের চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারীরা ইস্কাটনে পত্রিকাটির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এদিন সকালে চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাঠানো হয় কর্মীদের ই-মেইলে।
তখন বিক্ষোভকারী সাংবাদিকেরা দাবি করেন, ৪০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগই প্রতিবেদক ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মীরাও আছেন। তবে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৬ কর্মীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।