বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় ‘সর্বদলীয় কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব

  •    
  • ৯ এপ্রিল, ২০২১ ২০:০১

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জনগণকে সম্পৃক্ত করুন। তাহলেই এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। যে বিশাল চ্যালেঞ্জ, তা জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়।’

করোনাভাইরাস মোবাবিলায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে একটি ‘সর্বদলীয় কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই প্রস্তাব দেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আমরা আবারও প্রস্তাব রাখছি, এখনও সময়ে আছে, সর্বদলীয় কমিটি গঠন করে, জনগণকে সম্পৃক্ত করুন। তাহলেই শুধুমাত্র এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। যে বিশাল চ্যালেঞ্জ, তা জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হলে রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি ও সকল স্তরের মানুষকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মানুষকে এই ব্যাধির ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। আসুন আমরা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নেই – মানুষ বাঁচাই, দেশ বাঁচাই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিটি ইনফরমাল খাতের উদ্যোক্তাদের যথেষ্ট পরিমাণে প্রণোদনা দিতে হবে। যত দিন লকডাউন থাকবে, ততদিন কলকারখানা ও দোকান শ্রমিকদের ভাতা দিতে হবে। যারা দিন এনে দিন খায় তাদেরকে ব্যাপক হারে ত্রাণ দিতে হবে টিকে থাকার জন্য।

সকলের জন্য করোনার টিকা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশকে হার্ড ইমিউনিটির মধ্যে আনতে হলে কমপক্ষে সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। এ টিকার এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থান হয়নি। তিনি এ জন্যে সরকারের প্রস্তুতির অভাবকে দায়ী করে বলেন, সরকার এক বছর মেগা প্রকল্প, উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে।

তিনি বলেন, সাড়ে ১২ কোটি টিকা সংগ্রহের জন্য সরকারের উচিত হবে এখনই রোডম্যাপ তৈরি করা - কিভাবে টিকা আসবে, কিভাবে তা বিতরণ করা হবে।

করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন হাসপাতালে বেড ও আইসিইউ সংকট, করোনা পরীক্ষার অপ্রতুলতাসহ যে দুরবস্থা চলছে, সে জন্য সরকারের ‘ব্যর্থতা, উদাসীনতা, সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনা’কে দায়ী করেন বিএনপি মহাসচিব।

‘সর্বাত্মক লকডাউন অর্থ কী’

সরকারের লকডাউন পালন হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী বলেছেন যে, ১৪ তারিখ থেকে না কি সর্বাত্মক লকডাউন করা হবে। আমরা জানি না সর্বাত্মক লকডাউনের অর্থ কী? জনগণ জানে না এবং তার বিকল্প কি ব্যবস্থা করা হয়েছে সেই সম্পর্কেও জনগণ জানে না।’

তিনি বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন রোজার সময়ে কিভাবে সমন্বয় করা হবে, সে সম্পর্কে কোনো রোডম্যাপ দেয়া হয়নি।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের অনেক নেতা-কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সারা দেশে চার শতাধিক নেতা-কর্মী আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কয়েকদিন আগের হিসাব অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজারের অধিক।’

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বারডেম হামপাতালে চিকিৎসাধীন বুদ্ধিজীবী লেখক বদরুদ্দীন উমর ও তার স্ত্রী সুরাইয়া খানমের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

এ বিভাগের আরো খবর