মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক দূত ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পরে অতিথি ভবন পদ্মার সবুজ লনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘১১ লাখ রোহিঙ্গার কারণে আমাদের বনাঞ্চল ও পরিবেশ-প্রতিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে, আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
এ সময় জন কেরি যেখানেই হাত রাখেন সেখানেই সাফল্য আসে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বলেন, ‘তার দৃঢ়তার কারণে প্যারিস চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আমি তাকে অনেক বছর ধরে চিনি, জানি। যখনেই তিনি কোথাও হাত দিয়েছেন, সেখানেই সাফল্য এসেছে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও তাদের বৈঠকে আলাপ হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি নিয়েও তাদের মধ্য আলাপ হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নদী দূষণ নিয়ে কথা বলেছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। প্রতিবছর আমাদের হাজারো মানুষ এসব কারণে উদ্বাস্তু হচ্ছে। আমরা তাদের পূনর্বাসন করতে চাই।
‘আমরা এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাই। জলবায়ু পরিবর্তনের এসব বিষয়গুলোর জন্য আমরা দায়ি নয়, দায়ি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।’
সিভিএফ চেয়ার হিসেবে জাতিসংঘে জলবায়ু সংক্রান্ত একটি বিশেষ অফিস খুলতেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।