আট ঘণ্টার সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত ও উপদেষ্টা উপদেষ্টা জন কেরি।
শুক্রবার বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে তাকে বিদায় জানান ররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় পৌঁছান কেরি। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক শেষে বেলা সোয়া কেরি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
এসে জলবায়ু ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেন জন কেরি।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বৈশ্বিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করে কেরি বলেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের এ বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত। জাতিসংঘ যে কারণে আছে অর্থাৎ জাতিসংঘের নেতৃত্বে সব দেশর সম্মিলিতভাবে এই সংকট সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত।’
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনন্য। তাদের (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটা দ্বীপে পূনর্বাসন করছে। কিন্তু এটি দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধান নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন জানিয়ে জন কেরি বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি নিজে তার প্রশাসনিক কাঠামো থেকে মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করবে।’