বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন, বন্ধ সবকিছু

  •    
  • ৯ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:৫১

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এটা কমপ্লিট লকডাউন, কঠোর লকডাউন। ফলে কোনো অফিস আদালত খোলা থাকবে না। সেখানে শুধু জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বন্ধ থাকবে সব সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটা কমপ্লিট লকডাউন, কঠোর লকডাউন। ফলে কোনো অফিস আদালত খোলা থাকবে না। সেখানে শুধু জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে।’

লকডাউনের এক সপ্তাহ সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাইব যে, এই এক সপ্তাহ মানুষজন একদম ঘরে থাকবে। সেভাবে মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে। এক সপ্তাহ কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলবে।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যারা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তাদের যে পরামর্শ, সেই পরামর্শে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সবদিকেই আমাদের কিন্তু কঠোরভাবে লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই।’

ফরহাদ বলেন, ‘সরকার এটা নিয়ে বিশদভাবে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। ২৯ মার্চ যে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছি। তারপর কিন্তু ৪ এপ্রিল আরেকটি প্রজ্ঞাপণ দিয়ে সেই বিধি-নিষেধগুলো কিন্তু মানার জন্য জনগণকে বলেছি।

‘১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য একটা কঠোর লকডাউন, পরিপূর্ণ, কমপ্লিট লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে মানুষজন সহযোগিতা করবেন। বাসায় থাকবেন, বাইরে যাবেন না এবং কোনোভাবে অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরা করা যাবে না।’

রোববার নাগাদ প্রজ্ঞাপন জারির ইঙ্গিত মিলেছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর কথায়। সেই প্রজ্ঞাপণে সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কাঁচা বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপন পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা।

শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এক সপ্তাহের ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নিয়ে ভাবছে সরকার। এটি কার্যকর হতে পারে ১৪ এপ্রিল থেকে।

তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমন অবস্থায় সরকার জনস্বার্থে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।’

চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও মন্তব্য করেন কাদের।

করোনা বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আরও দুই সপ্তাহের লকডাউনের সুপারিশ করেছেন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কারিগরি কমিটির বিশেষজ্ঞরা। সিটি করপোরেশন এলাকায় পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশও করেন তারা।

পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির ৩০তম অনলাইন বৈঠকে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এরপর শুক্রবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কারিগরি কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক মাস ধরে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি চলছে। তা নিয়ন্ত্রণে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিধিনিষেধ দিলেও তা না মানায় করোনা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে।

‘এই সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আরও দুই সপ্তাহের লকডাউন করা যেতে পারে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও উচ্চ সংক্রমণ এলাকাগুলোতে দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন দেয়া যেতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর