বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকা সফররত ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে। এ সময় তিনি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার এক লাখ ডোজ হস্তান্তর করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা সেনানিবাসের সেনাসদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাতের সময় দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বাস্তবায়ন, সেনা বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং প্রশিক্ষক বিনিময়, পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
কোভিড ১৯ মহামারি মোকাবেলায় ভারতের সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান জেনারেল আজিজ। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।
জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে দুপুরে জেনারেল নারাভানে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর সেনাকুঞ্জে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর জেনারেল নারাভানে সেনাকুঞ্জে বৃক্ষরোপন করেন।
জেনারেল নারাভানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় এসেছে। সফরকালে ভারতের সেনাপ্রধান রোববার ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠেয় ‘আর্মি চিফস্ কনক্লেভ’ এ অংশগ্রহণ করবেন।
মুজিব জন্মশত বার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ৪ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বহুজাতিক অনুশীলন ‘শান্তির অগ্রসেনা’ পরিচালিত হচ্ছে। এই অনুশীলনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় ‘আর্মি চিফস্ কনক্লেভ’, যেখানে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সেনাপ্রধানসহ বিভিন্ন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান ও বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন।
সফর শেষে ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি সোমবার বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।