বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তরুণদের সক্ষমতা কাজে লাগানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৪৫

ডিএইট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের ভিসা সহজিকরণের তাগিদও দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, আমাদের বাণিজ্যের বিষয়ে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। ডিএইট সচিবালয় গ্রুপের মধ্যে সম্ভাবনার বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা চুক্তির সম্ভাবনা যাচাই করতে পারে।

তরুণদের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটিয়ে তাদের সক্ষমতাকে কাজে লাগানোসহ চারটি বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ডিএইট সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নশীল আট মুসলিম দেশের জোট ডিএইট শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী দিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চারটি পয়েন্ট তুলে ধরেন সরকার প্রধান। অন্য পয়েন্টগুলো হলো তথ্য ও প্রযুক্তির পূর্ণ সক্ষমতার ব্যবহার, প্রয়োজনীয় আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং অবকাঠামোগত কাঠামো তৈরি এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে সহজ করতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।

জলবায়ু ইস্যুতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা কার্যকর ও টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যক বলেও মত দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেও বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। গত বছর কোভিড ১৯ অতিমারি ছাড়াও ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও দেশের বেশিরভাগ অংশ দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়ে।

‘প্রাক্কলন অনুযায়ী আমাদের মোট জিডিপির এক শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখনই উদ্যোগ না নিলে সামনের দিনগুলোতে এ সংকট আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। অভিযোজন ও প্রশমনে উদ্যোগ নিতে আমাদের অর্থবহ সহযোগিতা প্রয়োজন।’

ডিএইট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের ভিসা সহজিকরণের তাগিদও দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, আমাদের বাণিজ্যের বিষয়ে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। ডিএইট সচিবালয় গ্রুপের মধ্যে সম্ভাবনার বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা চুক্তির সম্ভাবনা যাচাই করতে পারে।

‘এ ধরনের তথ্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আলোচনার সুযোগ বৃদ্ধি করবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। বাণিজ্য শেষ পর্যন্ত বেসরকারি খাতের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। ব্যবসায়ীদের সুযোগ বাড়াতে ডিএইট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা সহজিকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে ডিএইট সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ ইস্যু যেটি আমাদের পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতির উপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে।

‘আমরা শুরু থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে গুরুত্বারোপ করে আসছি। দুঃখের বিষয়, তাদের বাংলাদেশে আসার গত তিন বছরের বেশি সময়েও প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন, এই সমস্যার সমাধান না হলে এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও নিরাপত্তার সংকট তৈরি হতে পারে। ডিএইট সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। রোহিঙ্গারা যাতে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

শিক্ষা ব্যবস্থায় এসইএসিও বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্ক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে বলেও মনে করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘সব ধাপের শিক্ষায় বাংলাদেশ সমান গুরুত্ব দিয়ে আসছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত আমরা বিনামূল্যে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। উচ্চ শিক্ষায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে বাংলাদেশ একটি জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

‘আমি বিশ্বাস করি, এ ক্ষেত্রে এসইএসিও বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্ক ফোরআইআর এর মতো নতুন এবং জনপ্রিয় বিষয়গুলো এবং স্থিতিশীল অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম দিতে পারে।’

বাংলাদেশ আয়োজক দেশ হলেও করোনা মহামারির কারণে এবার ভার্চুয়ালি আয়োজিত হয়েছে চার দিনের ডিএইট শীর্ষ সম্মেলন। এবারের সম্মেলন থেকে জোটের বর্তমান চেয়ার তুরস্ক বাংলাদেশের কাছে পরবর্কেতী দুই বছরের জন্য ডিএইটের চেয়ারের দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

এ বছর শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে অংশীদারত্ব: যুবশক্তি ও প্রযুক্তির প্রস্তুতি।’

সম্মেলনে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিসহ সদস্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা অংশ নিয়েছেন। এই জোটভুক্ত দেশগুলো হলো, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।

বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডিএইট শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে। এবার হচ্ছে দশম শীর্ষ সম্মেলন।

এ বিভাগের আরো খবর