নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হবে ১৯ এপ্রিল।
ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিলের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি শুনানি হবে।
চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির পরে ওই দিন ঠিক করে দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ইরফান সেলিমের আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার, তার সঙ্গে ছিলে সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
ইরফান সেলিমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালতের অনুমতি নিয়ে ৬ এপ্রিল আবেদন করি। আজকে চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল দিন ঠিক করে দিয়েছেন।’
ইরফান সেলিমকে জামিন দিয়ে গত ১৮ মার্চ রায় দেয় হাইকোর্ট। সে রায় বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। পরে চেম্বার সে জামিন স্থগিত করে দেয়।
হাজি সেলিমপুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইরফান গত বছরের ২৫ অক্টোবর ধানমন্ডি এলাকায় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে মারধর করে আলোচনায় আসেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান এবং তার সহযোগীসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামে ধানমন্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টা’ মামলা করেন ওয়াসিফ।
ওই দিনই পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালায় র্যাব। আটক করা হয় ইরফান ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে।
ওই ভবন থেকে দুটি অবৈধ পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৭টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া, বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করার কথা জানায় র্যাব।
মদ আর ওয়াকিটকির জন্য ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কারাগারে পাঠানো হয় ইরফানকে। বরখাস্ত করা হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকেও।
২৮ অক্টোবর র্যাব-৩-এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।
এর মধ্যে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী চকবাজার থানার চার মামলার মধ্যে মাদক ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলায় ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
ধানমন্ডি থানায় নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফের করা সেই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম।