বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কার্টনে লেখা মোবাইল নম্বরে ধরা হত্যাকারী

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৪৮

পুলিশ জানায়, ৪০০ টাকায় মিটিয়ে নাজমা বেগম নামের ওই নারীকে বাসায় নেয় রিপন। কিন্তু নাজমা রিপনের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় মামলা করার হুমকি দেয়। একে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাজমার গলা চেপে ধরে রিপন। এতে সেখানেই মারা যায় নাজমা।

টাকা বেশি চাওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলা চেপে এক ‘যৌনকর্মীকে’ হত্যার পর কার্টনে ভরে লাশ রাস্তায় ফেলে দেয় আবু জিয়াদ রিপন নামের এক তরুণ। লাশ উদ্ধারের পর কার্টনে লেখা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ মার্চ রাতে রাজধানীর মিরপুরের ভাষানটেক থানা এলাকায়। ৪ মার্চ হত্যার অভিযোগে একটি স্কাইশপের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করা রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ৪০০ টাকায় মিটিয়ে নাজমা বেগম নামের ওই নারীকে বাসায় নেয় রিপন। কিন্তু নাজমা রিপনের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় মামলা করার হুমকি দেয়। একে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাজমার গলা চেপে ধরে রিপন। এতে সেখানেই মারা যায় নাজমা।

পরে রিপন নাজমার লাশ একটি কার্টনে ভরে মিরপুর ১৪ নম্বরের ডেন্টাল কলেজের সামনে ফেলে দেয়। পরের দিন ১ এপ্রিল মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। নিহত নাজমা বেগমের মা ভাষানটেক থানায় ১ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা করেন।

ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, তারা যখন লাশ উদ্ধার করে তখন কার্টনের গায়ে একটি মোবাইল নম্বর পায়। সেখানে ফোন করে জানতে পারে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার ফিরোজ নামের একজন সেটি ব্যবহার করেন। পরে তাকে আটক করে ঢাকায় আনা হয়।

তিনি আরও জানান, তার দেয়া তথ্যে জানা যায়, রিপন রাজধানীর কাজীপাড়া এলাকার মেঘা স্কাইশপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করেন। তার কাছেই এই কার্টন ছিল। সেই সূত্র ধরে মোবাইল ট্র্যাকের মাধ্যমে রিপনকে আদাসগেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন রিপন।

পরে রিপনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

এ বিভাগের আরো খবর