করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১১ এপ্রিল স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হচ্ছে না। দ্বিতীয় দফায় এ আয়োজন পেছানো হলো।
বুধবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানিয়েছে তথ্য অধিদপ্তর।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, ‘আগামী ১১ এপ্রিল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পূর্বনির্ধারিত স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।’
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বলেও উল্লেখ রয়েছে তথ্য বিবরণীতে।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান এবার স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন।
গত ৭ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ২৪ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করে সরকার।
কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তা স্থগিত করে ১১ এপ্রিল নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষ হচ্ছে ১১ এপ্রিল। এর মধ্যে আবারও স্থগিত করা হলো রাষ্ট্রীয় এই আয়োজন।
তবে কবে এই পুরস্কার দেয়া হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার এই পদক দেয়। ১৯৭৭ সাল থেকে এটি শুরু হয়।
এবার যারা পদক পাচ্ছেন, তারা হলেন: মরহুম এ কে এম বজলুর রহমান (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ)(মরণোত্তর); শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ) (মরণোত্তর); মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ) (মরণোত্তর); মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ) (মরণোত্তর); ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি); মহাদেব সাহা (সাহিত্য); আতাউর রহমান (সংস্কৃতি); গাজী মাজহারুল আনোয়ার (সংস্কৃতি) ও অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন (সমাজসেবা/জনসেবা)।