করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখে কোনোভাবে জনসমাগম করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার।
বুধবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এ নির্দেশনা জানানো হয়।
১৪ এপ্রিল বাংলা বর্ষবরণের আয়োজন অনলাইন বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আ স ম হাসান আল আমিনের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ‘বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করে জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান পরিহার করে সম্ভব হলে অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানানো হলো। কোনো অবস্থাতেই জনসমাগম করা যাবে না।’
বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন দিয়ে শুরু হয় বাঙালির বর্ষবরণ। পুরোনো দিনের জীর্ণতা দূর করে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার মন্ত্র নিয়ে নিজেদের মেলে ধরেন ছায়ানটের কণ্ঠশিল্পীরা। করোনাভাইরাস সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের জনসমাগম নিষিদ্ধের ঘোষণায় এবারের আয়োজনও অনেকটা অনিশ্চয়তায় পড়ল।
বাঙালি জীবনে বর্ষবরণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। যা জাতিসংঘের বিশ্ব সংস্কৃতির অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
পয়লা বৈশাখের দিন নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে সকালে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ণিল এই শোভাযাত্রায় শুধু চারুকলা শিক্ষার্থীরাই নন, অংশ নেয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এখনকার মতো সেদিন এতটা বর্ণাঢ্য আয়োজন না থাকলেও, কালক্রমে এটি হয়ে ওঠে বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ। কিন্তু করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় এ নিয়ে টানা দুই বছর মঙ্গল শেভাযাত্রার আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।