নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে এক নারীসহ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধের জেরে সেখানে তাণ্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় মামুনুল হকসহ ৪১ জনের নামে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোনারগাঁয়ে ভাঙচুর, সহিংসতা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁ থানার পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।
সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টের একটি কক্ষে শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান নেয়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় লোকজনের প্রশ্নের মুখে হেফাজত নেতা তার সঙ্গীনিকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন। তিনি বলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী, নাম আমেনা তইয়্যেবা; বাড়ি খুলনায়, শ্বশুরের নাম জাহিদুল ইসলাম।
তবে সেই নারী জানিয়েছেন তার নাম জান্নাত আরা, বাবার নাম অলিয়র, গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়।
এ ঘটনায় অবরুদ্ধ মামুনুলকে উদ্ধার করতে কয়েক শ হেফাজত কর্মী ওই রিসোর্টে হামলা করেন। এ সময় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মামুনুলকে ছিনিয়ে নেয়ার পর পথে পথে তার কর্মী-সমর্থকরা হামলা ও ভাঙচুর করেন।
মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আড়াই শ থেকে তিন শ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরেকটি মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলাও হয়েছে থানায়।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিভিন্ন মামলায়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।