পুলিশি বাধার মুখে পণ্ড হয়েছে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার সেবা চালুর রাখার দাবিতে মোটরবাইক চালকদের বিক্ষোভ।
নির্বিঘ্নে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার সেবা চালু রাখার দাবিতে দুপুর পৌনে একটার দিকে মগবাজার চৌরাস্তায় সমবেত হন কয়েক শ রাইড শেয়ারিং চালক। এ সময় তারা রাইড শেয়ার চালুর দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। অবরোধ করেন সড়ক।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে ধানমন্ডি এলাকায়, এরপর বিমানবন্দরের নীলক্ষেত এলাকায়, সর্বশেষ মগবাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বাইকাররা। পুলিশের ধাওয়ায় মগবাজার থেকে বাইকারদের বিক্ষোভ চলে আসে হাতিরঝিল-এফডিসি মোড়ে।
বিক্ষোভের রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট বাঁধে। এর মধ্যে এয়ারপোর্ট রোড, বাংলামোটর রোড, কাকরাইল রোড ও মৌচাক রোডে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু দাবি আদায় না হলে, বাইকাররা বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তারা জানান, লকডাউনের মধ্যে সবকিছু নির্বিঘ্নে চলছে, অথচ রাইড শেয়ারিং চালকদের বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আরোহী নিলেই দেয়া হচ্ছে মামলা।
শাহবাগ থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. নুরনবী বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
চালকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে, স্থানীয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মোক্তার হোসেনকে।
কিছুতেই শান্ত হচ্ছিলেন না বাইকাররা। দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান নেন তারা।
মগবাজার মোড়ে অবস্থান নেয়া বাইকাররা। ছবি: নিউজবাংলা
দুপুর দেড়টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। বাইকারদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু হলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। ফলে পিছু হটেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি বাইক সড়কে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
রমনা জোনের এডিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘সরকার থেকে নির্দেশনা আছে রাইড শেয়ার বন্ধ রাখার জন্য। আমাদের সেইভাবেই বলা হয়েছ। আমরা রাস্তায় রাইড শেয়ারিংয়ের বিরুদ্ধে তাই মামলা করছি।’
সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে কিছু চালক অহেতুক অযৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে বলেও জানান হারুন।
‘এমনকি তারা অ্যাম্বুলেন্সও আটকে দিচ্ছে। যেহেতু তাদের দাবি অযৌক্তিক তাই আমরা অ্যাকশন নিয়েছি। এখন রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছি।’
গত ৩১ মার্চ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপে চালানো রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন বন্ধের নির্দেশ দেয় সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএ।
দুই সপ্তাহের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানায় সংস্থাটি।
বিআরটিএ-এর অফিসে আদেশে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার যে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সেটা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী দুই সপ্তাহ মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।’
তারপর থেকেই বিভিন্ন সড়কে আন্দোলনে রাইড শেয়ারিং সেবার চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন মোটরবাইক চালকরা।