প্রাইভেটকারে দুই ভাই পাশাপাশি সিটে বসে যাচ্ছিলেন। গাড়ির পেছনে সিট খালি ছিল তাদের। মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিল এলাকায় গাড়ি থামিয়ে জরিমানা করা হয় মিতুল নামের একজনকে।
দুজনের মুখেই দুটি মাস্ক, মাথায় টুপি থাকার পরও কেন এক হাজার টাকা জরিমানা করা হলো তা জানতে চেয়ে তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব সদস্যের সঙ্গে তর্কে জড়ান।
মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর এলাকায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু এ বিষয়ে বলেন, ‘উনারা একে তো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছেন, আবার পাশাপাশি সিটে বসেছিলেন। এ কারণে তাদের একজনকে জরিমানা করা হয়েছে।’
বেলা দেড়টা পর্যন্ত র্যাবের অভিযানে ২৫ জনকে ১২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানা গেছে। এ সময় প্রায় ৮০০ মাস্ক বিতরণ করেছে র্যাব। যারা মাস্ক না পরে বাইরে বের হয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব মানছেন না তাদের সচেতন করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু বলেন, ‘লকডাউনে যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন তাদের সচেতন করা হচ্ছে। মূলত জরিমানা করা র্যাবের উদ্দেশ্য নয়। করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতেই অভিযান চলছে।’
এদিকে গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ মঙ্গলবার দিনভর তৎপরতা চালায়। যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা, কাপ্তান বাজার, উত্তর বাড্ডা বাজার, শাপলা চত্তর ও তুরাগ খালপাড় এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উৎসাহিত করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) ইফতেখায়রুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জনগণ যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সে ব্যাপারে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ছাড়া লকডাউনের যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে তা বাস্তবায়নেও পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করছে।’