বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পল্টন থেকে গ্রেপ্তার দুই ‘জঙ্গি নেতা’ রিমান্ডে

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২১ ২২:৩০

জাহেদ আনসার আল ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। বাকী বিল্লাহ সংগঠনটির তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) ও নজরদারি প্রতিরোধ (এন্টি সারভেইল্যান্স) বিভাগের প্রধান ছিলেন।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই নেতাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএ) হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল এই আদেশ দেন।

তাদের সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদের জন্য আবেদন করেছিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে পল্টন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের (এসএজি) একটি টিম।

তারা হলেন আরিফুল ইসলাম জাহেদ ওরফে আইমান ওরফে আরাহান ওরফে রেহান ও বাকী বিল্লাহ ওরফে সামির ওরফে জাফর ওরফে ফয়সাল।

সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মো. আহমেদুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে রাজধানীর পল্টন এলাকার সুরমা টাওয়ারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে সাইয়েদ তাইমিয়া ইব্রাহিম ওরফে আনোয়ারসহ একাধিক জঙ্গি সদস্য পালিয়ে যায়।

তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।

সিটিটিসি জানায়, জাহেদ আনসার আল ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ঢাকা উত্তরের দায়িই বিভাগের প্রধান মাসুল (দায়িত্বশীল) হিসাবে সক্রিয় ছিলেন।

বাকী বিল্লাহ সংগঠনটির তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) ও নজরদারি প্রতিরোধ (এন্টি সারভেইল্যান্স) বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি সংগঠনটির গোপন তৎপরতা জোরদার করার জন্য একাধিক এনক্রিপ্টেড যোগাযোগমাধ্যমও তৈরি করেন।

জাহেদের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া থানার জাহাজমারা গ্রামে। তবে বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে পড়াশোনা করেন।

২০০৮ সালে জামায়াতুল মুসলিমিন নামে এটি জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন তিনি। এই সংগঠনের মাধ্যমেই তার জঙ্গিবাদের হাতেখড়ি বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।

পরে ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস ইউনিভার্সিটিতে বিবিএতে ভর্তি হন জাহেদ। সেখানে পড়ার সময় সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। তার মাধ্যমে এই জঙ্গি সদস্য আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন। সংগঠনটির দায়িই বিভাগে কাজ শুরু করে দেন।

তার মাধ্যমে ধানমন্ডি, বনানী ও গুলশান এলাকার অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে আনসার আল ইসলামে যুক্ত করান। সর্বশেষ তিনি উত্তরার শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেন।

সিটিটিসি আর জানায়, সম্প্রতি তিনি আল নসীহা নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি অনেক সদস্যদের রিক্রুট করার কাজ করছিলেন।

তিনি সদকা প্রদান ও সংগ্রহের মাধ্যমে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে অর্থায়নে যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি আল নসীহা ফেসবুক গ্রুপের এডমিন গ্রেপ্তার হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

সিটিটিসি জানায়, বাকী বিল্লাহও ২০১৪ সালে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার মাধ্যমে সংগঠনটিতে যুক্ত হন। শুরুতে জঙ্গি সংগঠনটির মিডিয়া বিভাগে কাজ শুরু করেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যে তার কাজের দক্ষতা ও মেজর জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে তাকে আনসার আল ইসলামের আইটি ও নজরদারি প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান করা হয়।

তিনি সংগঠনটির প্রধান মিডিয়া ফোরাম দাওয়ালিল্লাহ তৈরি করা সহ সংগঠনের সদস্যদের নিরাপদ যোগাযোগমাধ্যম পিজিপি এনক্রিপ্টেড যোগাযোগমাধ্যম গড়ে তোলেন। এছাড়াও তিনি তিনি সংগঠনটির যোগাযোগমাধ্যম অধিকতর নিরাপদ করতে টেলস নামে অপারেটিং সিস্টেম কাস্টমাইজড করেন।

সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ সহচর সাব্বির ওরফে ওয়াক্কাস ওরফে তৈমুর গ্রেপ্তার হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা বাকী বিল্লাহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। তবে জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়ার কারণে তিনি দুই বছরের বেশি পড়তে পারেননি।

বাকীর বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকায়। ছাত্রজীবনে তিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথী ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর