বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্র পাচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেকপার্ক

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২১ ২০:৫৬

‘আমার সরকার দ্রুত শিল্পায়নের জন্য একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্য উৎপাদনের জন্য আমরা একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে চাচ্ছি।…বাংলাদেশ এখন দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করছে। আমরা মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি হাইটেক পার্ক দিতে চাই।’

মার্কিন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একটি হাইটেক পার্ক বরাদ্দের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঠানো এক বক্তব্যে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু বিদেশি সাহায্যের উপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা হ্রাস পেয়েছে, তাই লাখো তরুণের কর্মসংস্থানে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্রুত বর্ধনশীল দেশীয় বাজার এবং ৪০ কোটি (ফোর বিলিয়ন) মানুষের আঞ্চলিক বাজারের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংযোগ একে মার্কিন বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্যে পরিণত করেছে।’

বিদেশি বিনিয়োগের সুবিধা বৃদ্ধি করতে সরকার বাস্তব, আইনি ও আর্থিক অবকাঠামোর উন্নয়ন করে যাচ্ছে জানিয়ে বলেন, ‘আমার সরকার দ্রুত শিল্পায়নের জন্য একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্য উৎপাদনের জন্য আমরা একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে চাচ্ছি।’

বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে প্রায় ১০ কোটি ডলারের তথ্য প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে রপ্তানি বেশি হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

ইউএস এইডের ২০১৯ সালের বেসরকারি খাত মূল্যায়নে তথ্য প্রযুক্তি খাতের এ আয় ২০২৫ সাল নাগাদ পাঁচ গুণ বেড়ে হবে প্রায় ৫০ কোটি ডলার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করছে। আমরা মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি হাইটেক পার্ক দিতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শিল্প কাঁচামাল এবং কটন, সয়াবিন এবং গমের মতো পণ্য ক্রয় করি। এইসব পণ্যগুলো এদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের জন্য যথেষ্ট নীতি সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই ‘শক্তিশালী সঙ্গী’ হিসেবে পাশে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘এটি আমাদের রপ্তানি পণ্যের সবচেয়ে বড় গন্তব্য, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সহযোগী এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।’

প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা ও দুই লাখ নারীকে ধর্ষণের কথাও তুলে ধরেন। বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে একটি সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি রচনা করেন। আর শোষণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার তার অসম্পূর্ণ কাজের দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।

গত এক দশকে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন বিশ্ব নন্দিত।’

‘বাংলাদেশ গত ফেব্রুয়ারিতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এখন সামনে এগিয়ে যাচ্ছে’-বলেন সরকারপ্রধান।

এ বিভাগের আরো খবর