বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা: ১৪ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৫২

নিয়ম অনুযায়ী এখন মামলার পেপারবুক তৈরি হবে। এরপর শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সে বেঞ্চে যাবে। পরে ওই বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের বিষয়ে একসঙ্গে শুনানি হবে।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসেছে।

মামলাটির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টের আসার বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

নিয়ম অনুযায়ী এখন মামলার পেপারবুক তৈরি হবে। এরপর শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সে বেঞ্চে যাবে। পরে ওই বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের বিষয়ে একসঙ্গে শুনানি হবে।

মামলার ২১ বছর পর গত ২৩ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’ তা কার্যকর করতে নির্দেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামি হলেন মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান ওরফে রাশেদ খাঁ, সরোয়ার হোসেন মিয়া, তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোসহাব মোড়ল, শেখ মোহাম্মদ এনামুল হক, মোসাহেব হাসান ওরফে রাশু, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম।

এর মধ্যে পলাতক রয়েছেন আজিজুল, লোকমান, ইউসুফ, এনামুল, মোসাহেব হাসান।

আসামিদের সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) সদস্য বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল মাটি খুঁড়ে ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র-রাষ্ট্রদ্রোহ ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।

তার মধ্যে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। এরপর সেটি হাইকোর্টে যায়।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সে মামলায় হাইকোর্টে আপিলের রায় হয়। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর দণ্ডিত দুই আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। ১৪ বছর দণ্ডিত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ বিভাগের আরো খবর