বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মামুনুলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:৫৫

মামলার বাদী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান । মামলা মামুনুলকে হুমুকের আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ২৬ মার্চ সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজত নেতা মামুনুল হককে হুকুমের আসামি করে তাকেসহ ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির ১৭ জন নেতার নামে মামলা হয়েছে।

সোমবার রাতে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় খন্দকার আরিফ-উজ-জামান নামের এক যুবগলীগ নেতা এ মামলা করেন।

তার বাড়ি রাজধানীর ওয়ারিতে। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক। সেদিন তাকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন এজাহারে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবঙ্গুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের সফরে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে আসেন। তার এই সফরের প্রতিবাদ করে আসছিল হেফাজতসহ ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো।

সেদিন জুমার নামাজের পর বেলা পৌনে দুইটার দিকে মোদিবিরোধীরা সমবেত হয়ে স্লোগান দিয়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন।

সেখানে আগে থেকে অবস্থান নিয়ে ছিলেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীরা। তারাও মসজিদে নামাজ পড়েন।

মোদিবিরোধীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মসজিদের ভেতর থেকে ধাওয়া দিলে বাইরে অবস্থান নেন তারা। মিনিট দশেক পরে মিছিল করে উত্তর দিকের লাগোয়া সড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় তাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে মারা হয় মসজিদের ভেতর থেকে।

ইট ছুড়ে মারা এক তরুণকে নিয়ে আসার সময় মোদিবিরোধীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। সেখান থেকে চলে এসে আবার একজোট হন তারা। শুরু হয় হামলা-পাল্টা হামলা।

এর প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তাণ্ডব চালায় হেফাজত। এ সময় পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্বাধীনতা দিবসের বায়তুল মোকাররম মসজিদে হামলা চলাকালে তিনি আহত হন বলে অভিযোগ করেন যুবলীগ নেতা খন্দকার আরিফ-উজ-জামান।

এজাহাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে হামলার শিকার হন। তিনি মসজিদের বাইরে উত্তর গেটের সিঁড়িতে কয়েক হাজার জামাত-শিবির-বিএনপি-হেফাজতের উগ্র মৌলবাদী ব্যক্তির বিশাল জমায়েত দেখতে পান।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষ স্থানীয় জামাত-শিবির-বিএনপি-হেফাজত নেতারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেশি-বিদেশি সরকার প্রধান ও নারী প্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিকে বানচাল করা এবং ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করেন। সেখানে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেয়া হয়।

এরপর হেফাজত ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, ছোরা, কুড়াল, কিরিচ, হাতুড়ি, তলোয়ার, লাঠিসোঁটাসহ অতর্কিতে সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলা করেন। এ সময় অন্যদের সঙ্গে তিনি (বাদী) গুরুতর আহত হন।

এ বিষয়ে জানত চাইলে খন্দকার আরিফ-উজ-জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সে দিন শুক্রবার থাকায় আমি বায়তুল মোকাররামে নামাজ পড়তে যাই। তখন মাওলানা মামুনুল হকের নির্দেশে আমিসহ সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলা হয়। এ ছাড়া সারা দেশে হেফাজতে ইসলাম যে তাণ্ডব চালিয়েছে, সে জন্য আমি আজকে রাত ৯টায় পল্টন থানায় মামলা করেছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই কয়েক দিন ধরে তিনি হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করেন। এ কারণে মামলা করতে দেরি হয়।

মামলায় মামুনুল হককে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, নাসির উদ্দিন মনির, নায়েবে আমির মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নায়েবে আমির মাজেদুনা রহমান, ঢাকার লালবাগের মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, লালবাগের সহকারী মহাসচিব মাওলানা জসিম উদ্দিন, টঙ্গীর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাসুদুল করিম, অর্থ সম্পাদক মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়েজী, ঢাকার মোহাম্মদপুরের মাওলানা ফয়সাল আহমেদ, সহকারী দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ছাত্র ও যুব সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মো. জোবায়ের ও দপ্তর সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মো. তৈয়ব।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খন্দকার আরিফ-উজ-জামান রাত পৌনে ১০ টায় মামলা করেছেন। বিস্ফোরক আইন ও পেনাল কোডে মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর