পুরান ঢাকার ইসলামবাগ থেকে পাইকারি দামে মাস্ক কিনে নিয়ে মোহাম্মদপুরে খুচরা বিক্রি করেন মো. আলম। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বাড়ায় সার্জিক্যাল মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। মো. আলম জানালেন গত কয়েক দিনে পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে স্বল্প মূল্যের মাস্কের দাম বেড়ে গেছে।
তবে রাজধানীর বেশ কিছু দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম বাড়ে নি।
মোহম্মদপুর বাজারে মো. আলম জানান, আগে প্রতি ৫০ পিছ মাস্ক তিনি ৪০ টাকায় কিনতেন। কিন্তু এখন ৭০-৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এই প্যাকেট তিনি বিক্রি করছেন ১০০ টাকায়। তিনি জানান, এখন প্রতি হাজার মাস্কের দাম ১৮’শ টাকা।
রাজধানীর তোপখানা রোডের সার্জিক্যাল এশিয়া নামের একটি দোকানের বিক্রেতা আহমেদ হক জানান, মানসম্পন্ন মাস্কের দাম বাড়ে নি। বেড়েছে নিম্নমানের মাস্কের (সার্জিক্যাল) দাম। তবে সেটা অসহনীয় হারে বাড়ে নি।
কেন দাম বেড়েছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘আসলে যারা কমদামী মাস্ক ইমপোর্ট করে, তারাই দামটা বাড়িয়েছে। তবে স্যানিটাইজারের দাম আগের মতোই রয়েছে।’
ওষুধ বিক্রির সবচেয়ে বড় চেইন লাজ ফার্মার চিফ ফার্মাসিস্ট ইউসূফ আল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার গত কয়েক মাস ধরে আমরা যে দামে বিক্রি করতে আসছি, তার চেয়ে বাড়ে নি। তবে এস-৩ মাস্কের দাম প্রতি বাক্সে ৫০ টাকা বেড়েছে।’
ধানমন্ডির ল্যাভেন্ডার ড্রাগ কর্নারের বিক্রেতা বাপ্পী সাহা জানান, তাদের আউটলেটেও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম বাড়ে নি। এখন প্রতি পঞ্চাশটি মাস্কের একটি বাক্সের দাম ২০০ টাকা থেকে শুরু। মান ভেদে দাম বিভিন্ন রকমের হয়। আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ৭০ টাকা থেকে বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে।
রাজধানীর পান্থপথ সিগন্যালের কাছে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক বিক্রি করেন বিল্লাল হোসেন। তিনি জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নতুন করে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ার পর বাজারে মাস্কের চাহিদা ও দাম বাড়ছে। তাদের কাছে পাইকারিভাবে মাস্কের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।
রোববার সকালে রাজধানীর আদাবরে মাস্ক কেনার পর আব্দুল কুদ্দুস জানালেন, মাস্কের দাম তেমন বাড়ে নি। আগে যেই মাস্ক প্রতিটি ৯ টাকায় কিনেছেন, এখনও সেই দামেই কিনেছেন।
রাজধানীর পান্থপথে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পারভেজ আহমেদ। মাস্ক কিনতে এসেছিলেন তিনি। জানালেন, ফুটপাথের সার্জিক্যাল মাস্কের ব্যবসায়ীরা আগের চেয়ে দাম বেশি নিচ্ছে প্রতিটি ২ থেকে ৩ টাকা।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে সারা দেশে।