খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উৎসব ভাতা, বিজয় দিবস ভাতা ও নববর্ষ ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৈঠক শেষে সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানানা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বলেন, ‘জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা, তারা সব ভাতাই পেতেন। কিন্তু খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা তিনটা ভাতা পাচ্ছিলেন না।’
তিনটি ভাতার মধ্যে আছে: বছরে দুটি উৎসব ভাতা, বিজয় দিবস ভাতা ও নববর্ষ ভাতা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে মন্ত্রিসভা। ভার্চুয়াল এই সভায় গণভবন প্রান্ত থেকে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা সংযুক্ত হন সচিবালয় থেকে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদরা উৎসব ভাতা হিসেবে ১০ হাজার, বিজয় দিবস ভাতা হিসেবে পাঁচ হাজার এবং নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার করে টাকা পাবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘একটা হলো উৎসব ভাতা পাচ্ছিলেন না। তাদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আর তারা নববর্ষ ভাতা দুই হাজার টাকা, এটাও পাচ্ছিলেন না। আর বিজয় দিবস ভাতা পাঁচ হাজার টাকা, সেটাও পাচ্ছিলেন না। এটা তাদের দেয়া হবে।’
এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সব শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধা উৎসব, নববর্ষ ও বিজয় দিবস ভাতার আওতায় আসবেন।
বর্তমানে পাঁচ হাজার ২২২ জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পঙ্গুত্বের মাত্রাভেদে চারটি (এ, বি, সি ও ডি) শ্রেণিতে মাসিক ৪৫ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা, ৯৫২ জন মৃত ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ হাজার ৮১৬ জন শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের মাসিক ৩০ হাজার টাকা হারে সম্মানি ভাতা এবং বছরে ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা বাংলা নববর্ষ ভাতা এবং জীবিত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা পাচ্ছিলেন না।