বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২১ ১১:০২

সকাল ৯টার দিকে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করা হয়। এতে অংশ নেন কয়েকশ যাত্রী। এদের অধিকাংশই ছিলেন অফিস ও কর্মস্থলগামী। দেখা যায় দূরপাল্লার যাত্রীদেরও। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

করোনার বিস্তার রোধে শুরু হওয়া লকডাউনের প্রথমদিন গণপরিবহন না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এক ঘণ্টার মতো অবরোধ করেছে সাধারণ যাত্রীরা।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করা হয়। এতে অংশ নেন কয়েকশ যাত্রী। এদের অধিকাংশই ছিলেন অফিস ও কর্মস্থলগামী। দেখা যায় দূরপাল্লার যাত্রীদেরও। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

অবরোধের সময় লকডাউন বিরোধী ও গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় সমাবেতদের। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যক্তিগত ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক যানবাহন চলাচল করলেও কোনো গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি।

সড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ এসে অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কর্মস্থলগামী সাধারণ যাত্রীরা বাস না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হৈচৈ করেছিল, আমরা তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছি, এখন কোন সমস্যা নাই।

‘যেসব কারখানা ও অফিস খোলা আছে বিক্ষুব্ধদের অধিকাংশই সেসব জায়গার কর্মচারী ও শ্রমিক। তারা বলছিলেন, কারখানা খোলা বাস বন্ধ, আমরা কি হেঁটে কাজে যাব?’

তবে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান মাজহারুল ইসলাম।

দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে চলছে সরকার ঘোষিত সাতদিনের লকডাউন। লকডাউন শুরু হয়েছে সোমবার ভোর ৬টা থেকে। কিন্তু দিনের শুরুতেই রাজধানীর কোনো এলাকাতেই তা মানতে দেখা যায়নি নগরবাসীকে।

সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়কের পাশের বিপণীবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে থাকা দোকানপাট প্রায় সবই খোলা। সড়কে বাস চলতে দেখা না গেলেও স্বাভাবিকভাবেই চলছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশাসহ ব্যক্তিগত যানবাহন। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষেও তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

স্বাস্থ্যবিধি মানাতেও দেখা গেছে উদাসীনতা। অনেককে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি কোথাও।

শান্তিনগর মোড়ে ফ্লাইওভারের নিচে বসেছে বাজার। এতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করতে দেখা যায়নি বেশির ভাগ মানুষকে। রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে অগণিত মানুষকে।

কারওয়ান বাজার এলাকায় মূল সড়কে কোনো বাস চোখে না পড়লেও প্রচুর রিকশা-সিএনজি অটোরিকশা দেখা গেছে। গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও প্রগতি সরণিতে কয়েকটি বাসকে যাত্রী তুলতে দেখা যায়। কোনো কোনো সড়কে যানবাহনের চাপে সড়কে ধীরগতিও লক্ষ করা যায়।

রাজধানীর কয়েকটি কনস্ট্রাকশন সাইটে নির্মাণশ্রমিকদের কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই নির্মাণকাজ চালাতে দেখা গেছে। দলে দলে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে গার্মেন্ট কর্মীদের।

অফিসগামীরা গণপরিবহন না পেয়ে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেক অফিসই তাদের কর্মীদের বলেছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অফিসে আসতে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে রোববার দুপুরে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত অবশ্যই পালনীয় ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর